কলেজে ভর্তির জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠলেই প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। একই সঙ্গে, দলের কোনও সদস্যর বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগকে ‘গুজব’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) উত্তরবঙ্গ কনভেনশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে এসেছিলেন শঙ্কুদেব। সভার পরে শঙ্কুদেব বলেন, “কোথাও ভর্তি নিয়ে টাকা চাওয়ার কোনও অভিযোগ উঠলেই প্রশাসনকে জানাতে হবে। তারপর আমরা ব্যবস্থা নিয়ে নেব।”
সভার পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে শঙ্কুদেবের দাবি, “টিএমসিপির বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের ছড়ানো গুজব ছাড়া আর কিছু নয়।”
সংগঠন সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় টিএমসিপির নানা গোষ্ঠী রয়েছে। জলপাইগুড়িতে একই কলেজে বেশ কয়েকটি পৃথক গোষ্ঠীও রয়েছে। আগামী ২৮ অগস্ট সব গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকদেরই কলকাতার সমাবেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেই শঙ্কুদেব শিলিগুড়িতে আসেন বলে টিএমসিপি সূত্রে জানানো হয়েছে। এ দিনের সভায় অবশ্য বেশিক্ষণ বক্তব্য রাখেননি তিনি। সভার পরে হাসমিচকের একটি ভবনে দলের বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গেও বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করেছেন শঙ্কুদেব।
এ দিন শিলিগুড়ির মিত্র সম্মিলনীর হলে এনসেফ্যালাইটিস প্রসঙ্গও তুলেছেন শঙ্কুদেব। সম্প্রতি এনসেফ্যালাইটিস সংক্রমণ নিয়ে ‘তথ্য গোপনের’ অভিযোগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। এর প্রতিবাদে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানোও হয়। সে প্রসঙ্গ তুলে সভায় শঙ্কুদেব বলেন, “সূর্যকান্ত মিশ্র ঘুরে যাওয়ার পরে কয়েকজন ছাত্র মেডিক্যাল কলেজে দু একটা পুতুল পুড়িয়েছে শুনেছি। আগামী ২৮ অগস্টের কর্মসূচির পরে রাজনৈতিক ভাবে এ সবের মোকাবিলা করা হবে। সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপিকে মশারিতে বন্ধ করে দেব” এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলেও শঙ্কুদেবের অভিযোগ।
দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার এ দিন পাল্টা বলেন, “এনসেফ্যালাইটিসে শতাধিক মানুষের মৃত্যর পরেও যাঁরা গুজব বলে দাবি করেন তাঁদের রাজনীতি স্তর নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইনা।” সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত দার্জিলিং জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারের অভিযোগ, “রাজ্যের রাজনীতির সংস্কৃতিকে তৃণমূল নীচু স্তরে নিয়ে গিয়েছে। যিনি বলেছেন তিনিও সে চেষ্টা করছে।” জীবেশবাবুর পাল্টা প্রশ্ন, এনসেফ্যালাইটিস যদি গুজব-ই হতো তবে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করল কেন? বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন বসুর দাবি, “তৃণমূল ক্রমশ জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওরা এমন অনেক কিছুই বলতে পারে।”