রায়গঞ্জে তরুণ দেবনাথের ছবি।
মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নিমু ভৌমিক। রায়গঞ্জের মিলনপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিমুবাবুর মা গিরিবালাদেবী ১৯৯৮ সালে প্রয়াত হন। শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার আগে বাংলা ছবির অভিনেতা নিমুবাবু ঠাকুরঘরে মায়ের ছবিতে ফুল ও মালা দেওয়ার পর প্রার্থনা করেন। নিমুবাবু বলেন, “আমার মা আমার কাছে সবচাইতে বড় দেবতা। মা প্রয়াত হলেও এ দিন মায়ের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে মনোনয়ন জমা দিলাম। মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে আমার করা বহু ছবি হিট করেছে। তাই, আশা করছি নির্বাচনের ফলও হিট করে দেখাব।”
প্রতিদিনের মতো এদিনও সকাল ৭টা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ধুয়ে একগ্লাস লাল চা ও দুটি বিস্কুট খেয়ে নিমুবাবু পাড়ার রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ গল্প করেন। সকাল ৯ টা নাগাদ স্নান সেরে একবাটি দুধ ও কর্নফ্লেক্স খেয়ে স্ত্রী সুপ্তাদেবীকে নিয়ে একটি ছোট গাড়িতে চেপে কসবা এলাকায় হাজির হন। নিমুবাবুর পরনে ছিল সাদা এবং কালো সুতোর কাজ করা গেরুয়া রঙের পাঞ্চাবি, সাদা পায়জামা এবং পায়ে কালো চামড়ার চটি। ১১টা নাগাদ কসবা এলাকা থেকে একটি হুডখোলা পিক আপ ভ্যানে চেপে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মিছিল শুরু করেন নিমুবাবু। মিছিল চলাকালীন কসবা থেকে দেহশ্রী মোড় পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তায় ১২ বার থামতে হয় নিমুবাবুকে। কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতরে হাজির হয়ে জেলাশাসক স্মিতা পান্ডের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নিমুবাবু বলেন, “রায়গঞ্জের ভূমিপুত্র ও অভিনেতা হিসেবে বাসিন্দাদের এত ভালবাসা ও সমর্থন পাব, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।” নিমুবাবু ছাড়াও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের আম আদমির পার্টির প্রার্থী ইসলামপুরের বাসিন্দা মহম্মদ পাশারুল আলম। পাশারুলবাবু ইসলামপুর হাইস্কুলের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক।