রাজ্যপালের কাছে রাজ্য নিয়ে দরবার জিটিএ-র

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল জিটিএ। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুয়ায়ী রাজ্য সরকার বিভিন্ন দফতর হস্তান্তর না করাতেই প্রতি পদক্ষেপে বাধা আসছে বলে জিটিএ-এর তরফে রাজ্যপালকে নালিশ জানানো হয়েছে। সব শুনে রাজ্যপালও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জিটিএ-এর তরফে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪৯
Share:

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে এবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল জিটিএ। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুয়ায়ী রাজ্য সরকার বিভিন্ন দফতর হস্তান্তর না করাতেই প্রতি পদক্ষেপে বাধা আসছে বলে জিটিএ-এর তরফে রাজ্যপালকে নালিশ জানানো হয়েছে। সব শুনে রাজ্যপালও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জিটিএ-এর তরফে দাবি করা হয়েছে। এর আগে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ জানান গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

বুধবার দার্জিলিঙের রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক করেন জিটিএ-এর প্রতিনিধিরা। রাজ্যপাল হওয়ার পরে তাঁর প্রথম দার্জিলিং সফরে সৌজন্য সাক্ষাত্‌ ও আলোচনার সময় চেয়ে জিটিএ-এর তরফে রাজভবনে অনুরোধ জানানো হয়। সেই মতোই বুধবার তাদের সময় দেওয়া হয়। এ দিন বিকেলে জিটিএ সদস্য রোশন গিরি, দার্জিলিঙের বিধায়ক ত্রিলোক দেওয়ান এবং কার্শিয়াং পুরপ্রধান সমীরদীপ ব্লোন রাজভবনে গিয়েছিলেন।

ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে কোন বিষয়গুলি ছিল, তারমধ্যে কোনগুলি রূপায়িত হয়নি তার বিস্তারিত তথ্য রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জিটিএ-এর তরফে জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল কে একটি স্মারকলিপিও দেয় জিটিএ র প্রতিনিধি দল। কাজ করতে গিয়ে জিটিএ-এর পরিচালন কর্তৃপক্ষকে কী ধরণের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই স্মারকলিপিতে তার উল্লেখ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে দার্জিলিঙের রামকৃষ্ণ বিএড কলেজে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী শিক্ষা জিটিএ-এর এক্তিয়ারভুক্ত হলেও, তাদেরকে কিছু না জানিয়েই জেলাশাসককে রাজ্য সরকার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ জিটিএ র। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এ প্রসঙ্গে বলেন, “এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। শুধু এটাই বলতে পারি, রাজ্যের সর্বত্র যে উন্নয়ন কাজ চলছে, তা আগে কখনও হয়নি।” রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে রোশন গিরি বলেন, “জিটিএকে যে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। তার জন্য জিটিএ-এর সার্বিক প্রেক্ষাপটও জানানো হয়েছে। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হলেও, কোন কোন ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি, তাও জানানো হয়েছে।” ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে শুরু করে রামকৃষ্ণ বিএড কলেজে প্রশাসক বসানো, সব বিষয়ই রাজ্যপাল খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে রোশন গিরি দাবি করেছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন