রাতের উড়ান চালু করতে উদ্যোগ

বাগডোগরায় রাতের উড়ান চালু হলেও তা কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মাস ছয়েক আগে এক মাস কেবলমাত্র একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা পরীক্ষামূলকভাবে রাতে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে পরিষেবা চালু করেছিল।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০১
Share:

বাগডোগরায় রাতের উড়ান চালু হলেও তা কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মাস ছয়েক আগে এক মাস কেবলমাত্র একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা পরীক্ষামূলকভাবে রাতে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে পরিষেবা চালু করেছিল। সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগামী দুই মাস কোনও সংস্থারই বিকাল পাঁচটার পর রাতের বিমানের ব্যবস্থা নেই বাগডোগরায়। কিন্তু, বিমান চলাচল টানা বন্ধ থাকলে বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ রাতের উড়ানের অনুমতি ফিরিয়ে নিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মধ্যেই আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে কী ভাবে রাতের উড়ান গ্রীষ্মের মরসুমে ফের চালু করানো যায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)।

Advertisement

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সম্প্রতি বায়ুসেনা, জেলা প্রশাসন, পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন (অ্যাকশন ফোরাম অব টুরিজ্যম ইন্ডাস্ট্রি স্টেক হোল্ডার্স’)-এর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়।, সমস্যা মেটাতে ফোরামের উদ্যোগে শিলিগুড়িতে রাতের বিমান পরিষেবা নিয়ে একটি বড় মাপের কনভেনশন করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে। তাতে রাজ্য সরকার, প্রতিবেশী রাজ্য, দেশ, বিমান সংস্থা এবং বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ইন্টার ন্যাশন্যাল এয়ার ট্রাফিক অ্যাসোসিয়েশনকে ডাকা হবে বলে ঠিক হয়েছে। লোকসভার ভোটপর্ব মিটলেই কনভেনশন করার প্রস্তুতি চলছে। সেখানে রাতে বিমান চালালে যে ক্ষতি হবে না সেটাই মূলত তুলে ধরা হবে।

বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কল্যাণ কিশোর ভৌমিক বলেন, “নাইট ল্যান্ডিং পরিষেবা চালু হওয়ায় বিমান বাতিলের প্রবণতা কার্যত কমেই গিয়েছে। কোনও কারণে দিনের বিমানের দেরি হলেও সন্ধ্যার পরেও ওঠানামা করছে। তবে রাতের বিমানের কোনও পরিষেবা নেই। যত তাড়াতাড়ি তা চালু হবে ততই যাত্রীরা উপকৃত হবেন।” অ্যাকশন ফোরামের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, “টানা পরিষেবা চালু থাকলে যাত্রী সব সময় হবে। এএআই-র অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, ভোটের পর একটি কনভেনশন করা হবে। পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও আলাদা রাতের প্যাকেজ তৈরি করতে হবে।”

Advertisement

বাগডোগরায় রাতের উড়ান নিয়ে বিমান সংস্থা গুলি এতটা আগ্রহী নয় কেন? বিমানবন্দর সূত্রের খবর, অধিকাংশ বিমান সংস্থা রাতের উড়ানে যাত্রী হওয়াটা অনিশ্চিত বলে মনে করে। দ্বিতীয়ত, বাগডোগরায় নাইট ল্যান্ডিং পরিষেবা থাকলেও এখনও রানওয়েতে ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম চালু হয়নি। এমনকি, অনেক সময় অ্যাপ্রোচ লাইটও ঠিকঠাক নেই বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিমান রক্ষণাবেক্ষণের হ্যাঙ্গার পর্যাপ্ত সংখ্যায় নেই। এতে রাতে সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

গত বছরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি পর্যটন সংস্থার যৌথ সমীক্ষায় দেখা যায়, উত্তরবঙ্গ ছাড়াও বিহার, সিকিম, নামনি অসম, নেপাল, ভুটান বা বাংলাদেশের বড় অংশের যাত্রী এই বিমানবন্দরের উপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ যাত্রীরাই চান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা অবধি বাগডোগরায় বিমান চাহিদা প্রচুর রয়েছে। সমীক্ষায় যুক্ত ছিলেন পর্যটন বিশেষজ্ঞ রাজ বসু। তিনি বলেন, “পর্যটন এবং অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য রাতের বিমান পরিষেবা অত্যন্ত জরুরি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন