রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ির বিভিন্ন ওয়ার্ড

গত রবিবার রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। সোমবার ফুলেফেঁপে উঠেছে করলা, ধরধরা নদী। দুটি ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় নদীর জল ঢুকেছে। ঘরে জল ঢুকে সেখানে বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। ওই জলবন্দি দশার জন্য পুরসভার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকে দায়ী করে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। জরুরি সভা ডাকার দাবি তুলেছেন বিরোধিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩৮
Share:

মহামায়াপাড়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

গত রবিবার রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। সোমবার ফুলেফেঁপে উঠেছে করলা, ধরধরা নদী। দুটি ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় নদীর জল ঢুকেছে। ঘরে জল ঢুকে সেখানে বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। ওই জলবন্দি দশার জন্য পুরসভার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকে দায়ী করে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। জরুরি সভা ডাকার দাবি তুলেছেন বিরোধিরা।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতের বৃষ্টিতে ৩, ২, ১২, ১৪, ১৫, ১৬, ১৮, ১৯, ২৫, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জলবন্দি হয়। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রবল বৃষ্টির জন্য ওই সমস্যা হয়েছে। তবে এখনও ত্রাণ শিবির খোলার মতো পরিস্থিতি হয়নি। দুপুরের পরে জল নেমে গিয়েছে।”

যদিও পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান কংগ্রেসের পিনাকী সেনগুপ্ত দাবি করেন, “অন্তত ১৯ ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। ঘটনাটি পুর কর্তাদের জানানো হয়। ২২ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে করলা নদীর জল ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও ১৭টি ওয়ার্ড জলবন্দি হয়েছে।” তিনি জানান, জলমগ্ন শহরের গোমস্তাপাড়া, নিউটাউন পাড়া, মহামায়াপাড়া। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যার জন্য প্রতি বছর বর্ষায় একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

Advertisement

এদিন বিকেলেও করলা, রুকরুকা ও ধরধরা নদীকে দুকুল ছাপিয়ে বয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। পুরসভা সংলগ্ন বিডিও অফিস লাগোয়া এলাকা জলে ভেসেছে। পুরসভার বিরোধীদের অভিযোগ, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য ভোগান্তি বেড়েছে। প্রতিটি নিকাশি নালা প্লাস্টিকে ভরা। জল বার হতে পারছে না। নদীগুলিও মজে গিয়েছে। ফলে এখন উল্টে নদীর জল ওয়ার্ডে ঢুকছে।

পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডল বলেন, “বেহাল নিকাশি নিয়ে পুর কর্তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। পরিস্থিতি দেখে আমরা জরুরি সভা ডাকতে বলেছি। প্রতিদিন যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে সমস্যা বাড়বে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন