রামগঞ্জে অধরা অনেকে, ক্ষোভ

রামগঞ্জ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এমনকি তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিশ আলমও ধরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জন্য ডান বাম সব দলই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে। ইসলামপুরের এসডিপিও বৈভব তেওয়ারি বলেন, “নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। কিছু নাম সামনে এসেছে, তা তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষ্ক্রিয়তার কোনও বিষয়ই নেই।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২১
Share:

রামগঞ্জ ফাঁড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এমনকি তৃণমূলের ইসলামপুর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিশ আলমও ধরে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জন্য ডান বাম সব দলই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে। ইসলামপুরের এসডিপিও বৈভব তেওয়ারি বলেন, “নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। কিছু নাম সামনে এসেছে, তা তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষ্ক্রিয়তার কোনও বিষয়ই নেই।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রামগঞ্জ ফাঁড়িতে গোলমালের ঘটনায় ১৩ জনের নাম-সহ মোট ৫০ জনের নামে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করে পুলিশ। অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল তৃণমূল ইসলামপুর ব্লক সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিশ আলমের নামও। তাঁকে পেয়েও পুলিশ ধরেনি বলে অভিযোগ। তবে ইদ্রিশ বাবুর দাবি, “রাজ্য লটারির দোকানে হামলার পরই গন্ডগোল হয়েছিল। খবর পেয়ে প্রায় আধঘন্টা পর আমি ঘটনাস্থলে পৌছাই। ওই ঘটনায় আমি জড়িত নই। পুলিশ তদন্ত করে দেখে আমাকে ছেড়েছে।” কংগ্রেসের দাবি, “শাসক দলের নেতা বলে পুলিশ ইদ্রিশ আলমকে ধরে ছেড়ে দিয়েছে।”

ইসলামপুরের কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, “পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে ধরে ছেড়ে দিয়েছে। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। পুলিশ ওই নেতাকে ধরবে না।” সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, “পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে না। আসলে পুলিশের উপর চাপ রয়েছে। পুলিশ এখনই ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা শুধু বাড়বে না, পুলিশের উপর ভরসা আর কিছুই থাকবে না।”

Advertisement

তবে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি মেহেতাব চৌধুরী বলেন, “নেতা হওয়ার কারণেই ইদ্রিশ আলম গন্ডগোলের খবর পেয়ে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। উত্তেজিত জনতা গোলমাল করেছে। অভিযোগ সঠিক নয়।”

গত বৃহস্পতিবার ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকাতে লটারির দোকানকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লটারির ঘটনায় ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। এর পই উত্তেজিত জনতার একাংশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ফাঁড়ির আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তৃণমূলের ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিশ আলম সহ ১১ জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিনই অবশ্য ইদ্রিশ আলমকে পুলিশ ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন