রং করা হচ্ছে দেবদেবীর মূর্তি। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব।
মদনমোহন মন্দির চত্বরের পুতুল ঘর নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রতি বছর রাসমেলার সময় মদনমোহন মন্দির চত্বরের ২২টি পুতুলঘর সাজিয়ে তোলা হয়। ওই সব ঘরে রামায়ণ, মহাভারত-সহ বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনীর খণ্ডচিত্র পুতুলের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। গত এক দশক ধরে অবশ্য পুতুলঘরের প্রদর্শন সামগ্রীর বদল করা হয়নি। রাসমেলার আগে রঙ করে একই কাহিনীর খণ্ডচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছিল। ফলে দর্শনার্থীদের অনেকেই একঘেয়েমির কথা বলে আক্ষেপ করতেন। মূলত সেখান থেকে এবার অর্ধেক পুতুল ঘরে ওই সব ধর্মীয় কাহিনীর খণ্ডচিত্র প্রদর্শনে পুরোপুরি অভিনবত্ব আনতে চাইছেন ট্রাস্ট কর্তারা।
মডেল-আলোয় শ্রীকৃষ্ণের গোবর্ধন পর্বত তোলা থেকে ভগবান নারায়ণের সর্প ফণার ছায়ায় শয্যার মত খন্ডচিত্রের দৃশ্যায়ন তুলে ধরেও দর্শকদের নতুনত্বের স্বাদ দিতে চাইছেন দেবোত্তর কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের সদস্য তথা সদর মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা বলেন, “পুতুলঘরে ধর্মীয় কাহিনীর দৃশ্যায়নের প্রায় অর্ধেকেই নতুনত্ব আনা হচ্ছে। প্রস্তুতি চলছে।”
দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২২টি পুতুলঘর ও মন্দির লাগোয়া চত্বর মিলিয়ে মাটির তৈরি দেড় শতাধিক পুতুল মডেল দিয়ে মন্দির চত্বর সাজানো হয়। তারমধ্যে পুতুল ঘরগুলিতে গড়ে অন্তত ৩টি করে পুতুল রাখা হয়। এবার দু’জন মৃত্শিল্পীকে দিয়ে নতুনভাবে কাজ করানো হচ্ছে। ৬ নভেম্বর রাতে মদনমোহন মন্দির চত্বরে বিশেষ পুজো করে রাস উত্সবের সূচনা করবেন জেলাশাসক তথা দেবোত্তরের সভাপতি পি উল্গানাথন। রাতেই পৃথক অনুষ্ঠানে রাসমেলার উদ্বোধন হবে। মন্দির চত্বরে জেলাশাসকের পুজো-পর্ব থেকে রাসচক্র ঘুরিয়ে উত্সবের সূচনা দেখতে আমন্ত্রিতদের বসার জন্য গ্যালারির আদলে আসন বসানোর কাজ হচ্ছে।