রক্ষীদের গোলমালে কাজ বন্ধ বিদ্যুত্‌কেন্দ্রে

বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে গোলমালের জেরে প্রায় আড়াই ঘন্টা কাজ বন্ধ থাকল আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতায় নির্মীয়মান পাওয়ার গ্রিড স্টেশনে। রবিবার সকাল আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত গেট বন্ধ থাকায় কাজে ঢুকতে পারেননি শ্রমিকেরা। পরে কর্তৃপক্ষ গিয়ে গেট খুলে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫৪
Share:

কাজ হয়নি প্রায় আড়াই ঘণ্টা। নিজস্ব চিত্র।

বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে গোলমালের জেরে প্রায় আড়াই ঘন্টা কাজ বন্ধ থাকল আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতায় নির্মীয়মান পাওয়ার গ্রিড স্টেশনে। রবিবার সকাল আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত গেট বন্ধ থাকায় কাজে ঢুকতে পারেননি শ্রমিকেরা। পরে কর্তৃপক্ষ গিয়ে গেট খুলে দেয়।

Advertisement

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ১২টা নাগাদ দুই নিরাপত্তারক্ষী বন্দুক নিয়ে নির্মীয়মান পাওয়ার গ্রিড স্টেশনের বাইরে যান। বিষয়টি নিয়ে সুপারভাইজারের কাছে অভিযোগ জানান অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা। তার জেরে নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। তার জেরে রবিবার সকাল আটটা নাগাদ প্রকাশ রায় নামে এক কর্মী গেট বন্ধ করে দেন। তিনি তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা জিমূতকুমার রায় বলেন, “প্রকাশ রায় আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। কেন ও গেট বন্ধ করে কাজের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করতে বলেছি।” প্রকাশবাবু বলেন, “নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনতেই গেট বন্ধ করা হয়েছে।”

প্রজেক্টের দায়িত্বে থাকা চন্দন নন্দী বলেন, “শনিবার রাতে নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এ দিন সকালে বেশ কিছুক্ষণ গেট বন্ধ ছিল। পরে তা খুলে দেওয়া হয়।”চলতি বছরেই আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা এলাকার পাকুড়িতলা ও মরিচবাড়ি মৌজার ১৮০ এক জমির উপর শুরু হয়েছে পাওয়ার গ্রিড স্টেশন নির্মাণের কাজ। ২০১৬ সালের মধ্যে স্টেশনটি চালু হওয়ার কথা। ভুটান থেকে বিদ্যুত্‌ নিয়ে আসার পরে দেশের নানা প্রান্তে যাবে।

Advertisement

বেসরকারি নিরাপত্তার সংস্থার সুপারভাইজার যতীশচন্দ্র বর্মন বলেন, “রাতে ভজন দে ও চিন্টু রায় নামে দুই কর্মী বন্দুক নিয়ে পাওয়ার গ্রিডের বাইরে বেরিয়েছিল। বন্দুক নিয়ে বাইরে যাওয়া নিষেধ। অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা ফোনে বিষয়টি আমায় জানান। আমি ওই দু’জনকে ফিরে আসতে বলি। ওঁরা কিছুক্ষণ পরে এসে নির্দিষ্ট জায়গায় বন্দুক রেখে দেন। তার পরে ভজনের সঙ্গে রঞ্জিত দাস, রজনীকান্ত দাস ও বাসুদেব রায়ের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তা মারপিট পর্যন্ত গড়ায়। রাতে ভজনকে আলিপুরদুয়ারে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি কোচবিহারে তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন।” ভজনবাবু ফোনে বলেন, “ওঁরা আমার উপর কেন হামলা করলেন জানি না। আমার বুকে আঘাত লেগেছে। বিষয়টি নিয়ে পরে পুলিশে অভিযোগ জানাব।” বিষয়টি নিয়ে রজনীকান্ত, রঞ্জিতবাবুরা বলেন, “নিয়ম ভেঙে বন্দুক নিয়ে বাইরে গিয়েছিল। সেটি সুপারভাইজারকে জানানোয় ভজন গোলমাল করে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন