লক-আপে ভরে টাকা দাবি, নালিশ

তিন যুবককে থানার লক আপে প্রায় ৮ ঘণ্টা আটকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ অফিসার-কর্মীদের নামে। গত শনিবার কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থানায় ঘটনাটি ঘটে। ওই যুবকদের অভিযোগ, ঘোকসাডাঙা থানার ওসি দীপোজ্জ্বল ভৌমিক এবং কয়েক জন পুলিশ কর্মী ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এক দালালের মারফত ওই টাকা দেওয়ার পর তাঁদের ছাড়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৪ ০১:১৯
Share:

তিন যুবককে থানার লক আপে প্রায় ৮ ঘণ্টা আটকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ অফিসার-কর্মীদের নামে। গত শনিবার কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা থানায় ঘটনাটি ঘটে। ওই যুবকদের অভিযোগ, ঘোকসাডাঙা থানার ওসি দীপোজ্জ্বল ভৌমিক এবং কয়েক জন পুলিশ কর্মী ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এক দালালের মারফত ওই টাকা দেওয়ার পর তাঁদের ছাড়া হয়েছে। শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়ার বাসিন্দা ওই যুবকেরা মঙ্গলবার গোটা ঘটনাটি রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর, উত্তরবঙ্গের আইজি-র দফতরে ফ্যাক্স করেছেন।

Advertisement

অভিযোগকারী তিন যুবকের নাম প্রদীপ কর্মকার, তোতন ঘোষ এবং মনোরঞ্জন কবিরাজ। মাটিগাড়ার রবীন্দ্র পল্লির বাসিন্দা প্রদীপের হার্ডওয়ারের দোকান রয়েছে। তোতনের বাড়ি মাটিগাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে। তাঁর জুতোর ব্যবসা রয়েছে। আর মনোরঞ্জনের বাড়ি শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনের কাছে রামকৃষ্ণনগরে। তিনি আসবাবের ব্যবসায়ী ছাড়াও পেশায় গাড়ি চালক। ঘোকসাডাঙা থানার ওসি দীপজ্জ্বলবাবু তিনি বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় থাকার জন্যই ওই যুবকদের ধরা হয়েছিল। চাপ দিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ ঠিক নয়। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”

ওই যুবকেরা জানান, মদ্যপানের অভিযোগ মনগড়া। মদ্যপ থাকলে পুলিশের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর কথা, তা হয়নি। টাকা লেনদেন সংক্রান্ত সমস্ত কিছু মোবাইলে রেকর্ডিং করে রাখা হয়েছে। পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “কেউ অভিযোগ জানায়নি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”

Advertisement

অভিযোগকারীরা জানান, শনিবার তারা ছোট গাড়ি নিয়ে আলিপুরদুয়ারে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। গাড়ির চালক ছিলেন মনোরঞ্জন-ই। বিকালে সেখান থেকে ফালাকাটার ফুলবাড়িতে যান। সেখানে মনোরঞ্জনদের গ্রামের বাড়ি। পরে বালাসুন্দরে মনোরঞ্জনের মামার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে শিলিগুড়ি ফেরার কথা ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ সিংহঝারি এলাকায় কয়েক জন সিভিক পুলিশ গাড়ি আটকায়। পুলিশ পরিচয় দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। পরে গাড়ি সমেত থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রদীপ, মনোরঞ্জনেরা জানিয়েছেন, ঘণ্টা খানেক থানায় বসিয়ে রেখে লক- আপে ঢোকানো হয়। ওসি ছোট মামলা দেওয়ার কথা জানান। ২০ হাজার টাকা দিলে মামলা হবে না বলেন। নইলে গাঁজা পাচারে ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়। পরে থানায় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। মনোরঞ্জনবাবুর মামার বাড়ি থেকে তিনিই টাকা নিয়ে আসেন। লকআপ থেকে ছাড়া হলেও সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন