শহর ছাড়ার কথা ভাবছেন রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ

দীর্ঘদিন আগে ইস্তফা দিলেও, দায়িত্ব থেকে অব্যহতি না দিয়ে দায়িত্ব সামলানোর জন্য তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুললেন রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম রায়। আগামী সোমবারের মধ্যে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিলে তিনি রায়গঞ্জ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হবেন বলেও জানান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩৬
Share:

দীর্ঘদিন আগে ইস্তফা দিলেও, দায়িত্ব থেকে অব্যহতি না দিয়ে দায়িত্ব সামলানোর জন্য তাঁর উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ তুললেন রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম রায়। আগামী সোমবারের মধ্যে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে দায়িত্ব না দিলে তিনি রায়গঞ্জ ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হবেন বলেও জানান তিনি।

Advertisement

শনিবার উত্তমবাবু বলেন, “দু’মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ইস্তফা দিতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আমার জায়গায় অন্যকে দায়িত্ব না দিয়ে কৌশলে পরোক্ষভাবে আমার উপর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব সামলানোর জন্য চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তবে আগামী সোমবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে সরকারিভাবে অব্যাহতি দিয়ে অন্য কাউকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিলে আমি রায়গঞ্জ ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হব।” অধ্যক্ষের দাবি, বাড়িতে থাকলেও, রায়গঞ্জে তিনি নিরাপদ নন। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থক (টিএমসিপি) এক ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে ছাত্র পরিষদের তিন নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তদন্ত না করে ওইদিন কলেজে কিছু হয়নি বলে মন্তব্য করে বিতর্কের জড়ান উত্তমবাবু। টিএমসিপি সমর্থকেরা ৮ সেপ্টেম্বর উত্তমবাবুর বিরুদ্ধে পক্ষপাত ও রাজনীতি করার অভিযোগে শহরে ধিক্কার মিছিল করে। কলেজের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভও দেখায়। টিএমসিপির হামলার মুখে পড়ার আশঙ্কার কথা দাবি করে গত শুক্রবার থেকে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন উত্তমবাবু। ওইদিন তিনি উপাচার্যের কাছে ফ্যাক্স মারফত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়ে আবেদনও পাঠান। অধ্যক্ষের দাবি, ছুটি মঞ্জুর হয়েছে কিনা সে বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ বলেছেন, “উত্তমবাবুর ইস্তফাপত্র শিক্ষা দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হওয়ায় দফতরের অনুমতি ছাড়া তাঁকে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি দিতে পারি না। উত্তমবাবুর ছুটি পাওনা আছে কিনা তা কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন