নিবার্চন কমিশনের কর্মী অফিসারদের মারধর করার অভিযোগে ধৃত মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের জামাই সোমদীপ সরকার-সহ সাত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীকে বুধবার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অন্তর্বতী জামিনে মুক্তি দিয়েছেন। দলীয় নেতা কর্মীরা জামিনে ছাড়া পাওয়ার খবর ছাড়াতেই তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে খুশির হাওয়া। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী তথা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “আগেই বলেছিলাম আইন আইনের পথে চলবে। আজকে আদালতে জামিনে ধৃতদের মুক্তি দিয়েছেন। আমরা খুশি।” সরকারি আইনজীবী দীপেন চৌধুরী বলেন, “মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ কুমার রায় ধৃত সাতজনকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এক হাজার টাকার বিনিময়ে অন্তর্বতী জামিন দিয়েছেন। অভিযুক্তদের একদিন পর মানিকচক থানায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে।”
গত ১০ এপ্রিল দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থনে মানিকচকের খয়েরতলায় তৃণমূল কংগ্রেসে তিনশর বেশি বাইক নিয়ে র্যালি করছিল বলে অভিযোগ। কমিশনের কর্মী অফিসারেরা বাইক র্যালির ছবি তুলতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কর্মীরা তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। প্রহৃত মানিচক ব্লকের এমসিসি ও ভিডিও সার্ভিলেন্স দলের ওসি-সহ আটজন লিখিতভাবে বিডিওর কাছে মন্ত্রীর জামাই সোমদীপ সরকার, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মুকলেশ্বর রহমান, জামাল খান, মতিউর রগমানের নেতৃত্বের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
মানিকচকের বিডিও সাংগে তাসি ডুগপা মানিকচক থানায় লিখিত অভিয়োগ দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিন রাতে অভিযোগে নাম নেই এমন তিনজন তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিপিন বিহারী মন্ডল, কালু শেখ, নীলকান্ত সিংহকে গ্রেফতার করে। মূল অভিযুক্ত মন্ত্রীর জামাই সহ চারজনকে গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ১১ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে কমিশনে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই সময়ের আগেই পুলিশ অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করে। পরের দিন পুলিশ ধৃত চারজনকে আদালতে তুলতে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে ১৬ এপ্রিল পযর্ন্ত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল।