সরকারি মহিলা হোম থেকে নিখোঁজ এক কিশোরী। শনিবার দুপুরে ইংরেজবাজারের সুকান্ত মোড়ের হোমটি থেকে দুই কিশোরী পালিয়ে যায়। এক জনকে তার পরিবারের লোকেরা ওই দিনই হোমে ফিরিয়ে দিয়ে যান। অপর কিশোরী এখনও নিখোঁজ। ইংরেজবাজার থানায় হোম কর্তৃপক্ষ ওই রাতেই নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। ঘটনা পর রবিবার হোমের সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর ওই কিশোরী দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের বাসিন্দা। তাকে ২০ জানুয়ারি এই হোমে রাখা হয়।
হোম সূত্রের খবর, সেখানে প্রায় ৮০ জন আবাসিক রয়েছেন। দুপুরে ১০-১২ জন কিশোরী যখন স্নান করছিল, সে সময় পাঁচিল টপকে দুই কিশোরী পালিয়ে যায়। তাদের দু’জনের বাল্যবিবাহ হওয়ায় হোমে এনে রাখা হয়েছিল। পরে কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, এক জন ইংরেজবাজারে তার বাড়িতে চলে গিয়েছে। কিন্তু ওই কিশোরীর কোনও হদিশ মেলেনি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হোমটি বর্তমানে একটি ভাড়া বাড়িতে চলে, যার পাশে একটি চার্চ রয়েছে। এর ফলে পাঁচিল টপকে অতি সহজেই পালানো যায়।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দেবতোষ মণ্ডল-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ওই দিন হোমে যান। তিনি বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নজরদারি থাকা সত্ত্বেও হোম থেকে কিশোরীদের পালিয়ে যাওয়ায় হোমের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ঘটনার পরে হোমের সুপার তপতী চৌধুরীকে সরিয়ে কালিয়াচক ৩ নম্বর ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার করে পাঠানো হয়েছে। দেবতোষবাবু জানান, সুপারের বদলির বিষয়টি প্রশাসনিক। যদিও তপতীদেবী এ বিষয়ে কোনও মন্ত্যব্য করতে চাননি। পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।