ডুয়ার্সের শামুকতলা হাটের বেহাল অবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই জলকাদায় নাজেহাল হতে হচ্ছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাসিন্দাদের। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জলের সুব্যবস্থা নেই, দশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সুলভ শৌচাগার নির্মাণ হলেও চার বছর ধরে সেটা তালা বন্ধ। গোটা হাট জুড়ে আবর্জনা পড়ে থাকে। নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল। মাছ মাংসের বাজারের জল পড়ে থাকছে রাস্তা জুড়ে। কয়েকটি হাইড্রেন তৈরি হলেও প্রয়োজনের তুলনা কম। কিছু হাটশেড ভেঙে পড়লেও সেগুলি সংস্কার করা হয়নি। প্রতি শুক্রবার হাটের পাইকারি সব্জি বাজার বসে প্রধান সড়কের উপর। এতে স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা প্রচন্ড অসুবিধার পড়েন। হাট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাট থেকে প্রতি বছর জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ১৫-২০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করে অথচ তাঁর সামান্য অংশও হাট সংস্কারের কাজে ব্যয় করা হয় না। জলের জন্য ব্যবস্থা করা হলেও সেগুলি বেহাল। হাট সংস্কার না হলে খাজনা বন্ধের হুমকি দেন ব্যবসায়ীরা। শামুকতলা হাটের ইজারাদার পবন রাই জানান, সমস্যা অনেক রয়েছে। সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য জেলা পরিষদের কাছে দফায় দফায় আবেদন করা হয়েছে। হাটের পরিকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। শামুকতলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কমল পাল বলেন, “হাট সংস্কারের আশ্বাস মিলেছে। গত বছর জেলা পরিষদের প্রতিনিধি দল এসে হাট ঘুরে দেখে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি নুরজাহান বেগম জানিয়েছেন, শামুকতলা হাট উন্নয়নের জন্য কিছু প্রকল্প গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় কাজ করা যায়নি। বেশ কিছু হাইড্রেন এবং হাটের মধ্যে কয়েকটি পাকা গলি পথ ও শেড নির্মাণ হয়েছে। কয়েকটি শৌচাগার, শেড-সহ নানা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।