হাট সংস্কার নিয়ে উদাসীন জেলা পরিষদ

হাট সংস্কারের দাবিতে জেলা পরিষদের কাছে বিভিন্ন মহল থেকে গত তিন বছরে অন্তত ২০টি স্মারকলিপি জমা পড়েছে। যদিও হাটের হাল ফেরেনি বলে অভিযোগ। কয়েকটি শেড তৈরি এবং দু’টি নর্দমা তৈরি ছাড়া কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। ডুয়ার্সের শামুকতলা হাটের এই অবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শামুকতলা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৪৬
Share:

হাট সংস্কারের দাবিতে জেলা পরিষদের কাছে বিভিন্ন মহল থেকে গত তিন বছরে অন্তত ২০টি স্মারকলিপি জমা পড়েছে। যদিও হাটের হাল ফেরেনি বলে অভিযোগ। কয়েকটি শেড তৈরি এবং দু’টি নর্দমা তৈরি ছাড়া কোনও পদক্ষেপ হয়নি বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। ডুয়ার্সের শামুকতলা হাটের এই অবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টিতেই হাটে জল কাদা জমে যায়। যার ফলে নাজেহাল হতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও এলাকার বাসিন্দাদের। পানীয় জল সরবারহের ব্যবস্থা নেই। দশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সুলভ শৌচাগার তৈরি হলেও তিন বছর ধরে বন্ধ। হাট জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনার স্তূপ। নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল। মাছ মাংসের দোকানের ব্যবহৃত জল গড়িয়ে যাচ্ছে চলাচলের রাস্তা দিয়ে। প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক হাটের দিন লাগোয়া সড়ক ‘দখল’ করেই সব্জি বাজার বসে বলে অভিযোগ। এতে স্কুলপড়ুয়া থেকে বাসিন্দারা সকলকেই নাকাল হতে হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাট থেকে প্রতি বছর জেলা পরিষদ ১৫-২০ লক্ষ টাকা রাজস্ব পায়। তার সিকিভাগও হাট রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহার হয় না।

প্রশাসন সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার পৃথক জেলার মর্যাদা পাওয়ার পরে পৃথক জেলা পরিষদ গঠন হয়েছে। বিভিন্ন খাতে প্রয়োজন মতো বরাদ্দ মিলতে শুরু করলেই, জেলার হাটগুলিতে উন্নয়নের কাজে গতি আনা সম্ভব হবে বলে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোহন শমার্র দাবি। তিনি বলেন, “সবেমাত্র জেলা পরিষদের দায়িত্ব নিয়েছি। জেলার বড় হাটগুলির মধ্যে শামুকতলা হাট অন্যতম। বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা আন্তরিক ভাবে সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছি।”

Advertisement

শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গাব্রিয়েল হাঁসদা অভিযোগ করে বলেন, “হাট সংস্কারের শুধু আশ্বাসই মিলেছে এতকাল। গত বছর জেলা পরিষদের এক প্রতিনিধি দল এসে হাট পরিদর্শন করে সমস্যা খতিয়ে দেখেছেন। তখনও আশ্বাস মিলেছিল। কিন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি।” ব্যবসায়ীরা জানান, পানীয় জলের জন্য কয়েকটি নলকূপ বসানো হলেও, সেগুলি বেশির ভাগ সময়ে বেহাল হয়ে থাকছে। হাট ব্যবসায়ী দিলীপ দেবনাথের দাবি, “শীঘ্রই হাট সংস্কারে উদ্যোগী না নেওয়া হলে, আমরা রাজস্ব দেওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন