হুমকিতে বন্ধ বিজেপি-র দফতর উদ্বোধন, নালিশ

তৃণমূলের হুমকিতে বিজেপির পার্টি অফিস উদ্বোধন ভেস্তে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির ২২ নম্বর ওয়ার্ডে অরবিন্দপল্লিতে এক ভাড়ার ঘরে বিজেপির পার্টি অফিস উদ্বোধনের কথা ছিল। অভিযোগ, বুধবার রাতে তৃণমূলের একাংশ কর্মী সমর্থক ওই বাড়ির মালিককে হুমকি দিয়ে যায়। এ দিন সকালে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা অফিস খুলতে গেলে বাড়ির মালিক চাবি দিতে অস্বীকার করেন। পার্টি অফিস উদ্বোধনও ভেস্তে যায়। তাঁকে যে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে বাড়ির মালিক থানায় অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগে তৃণমূলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৪ ০২:১৫
Share:

তৃণমূলের হুমকিতে বিজেপির পার্টি অফিস উদ্বোধন ভেস্তে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির ২২ নম্বর ওয়ার্ডে অরবিন্দপল্লিতে এক ভাড়ার ঘরে বিজেপির পার্টি অফিস উদ্বোধনের কথা ছিল। অভিযোগ, বুধবার রাতে তৃণমূলের একাংশ কর্মী সমর্থক ওই বাড়ির মালিককে হুমকি দিয়ে যায়। এ দিন সকালে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা অফিস খুলতে গেলে বাড়ির মালিক চাবি দিতে অস্বীকার করেন। পার্টি অফিস উদ্বোধনও ভেস্তে যায়। তাঁকে যে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে বাড়ির মালিক থানায় অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগে তৃণমূলের নাম উল্লেখ করা হয়নি। বিজেপি-র দার্জিলিং জেলা সভাপতি রথীন বসু বলেন, “এলাকার অন্যত্র পার্টি অফিস খোলা হবে। এ ভাবে বিজেপি সংগঠন আটকানো সম্ভব নয়।” তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অবাস্তব বলে দাবি করেছে।

Advertisement

শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি ওজি পাল বলেন, “অভিযোগ হলে বিষয়টি নিয়ে থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে।” এ দিন পার্টি অফিস খুলতে না পেরে শেষ পর্যন্ত রাস্তাতেই পথসভা করে বিজেপি। তাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি সহ স্থানীয় বিজেপি নেতারা। বিশ্বপ্রিয়বাবু বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনায় প্রমাণিত বিজেপির শক্তিবৃদ্ধিতে শাসক দল ভয় পেয়েছে।” তৃণমূলের তরফে বলা হয়, এলাকায় বিজেপির সংগঠন নেই। রাজনৈতিক ফয়দা তুলতেই বিজেপি এই অভিযোগ তুলেছে। জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ পাল বলেন, “বিজেপির কোনও ইস্যু নেই। সস্তা প্রচারের জন্য এসব অভিযোগ হচ্ছে।”

২০০৯ সালের পুরসভা নির্বাচনে ওয়ার্ডটি কংগ্রেসের দখলে যায়। কিন্তু, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটের হিসেব অনুযায়ী, ওই ওয়ার্ডে কংগ্রেস চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্রাপ্ত ভোট ৮৪১। তৃণমূল ২৮৯৮টি ভোট পেয়ে এক নম্বরে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। প্রাপ্ত ভোট ১৪৮৪। বিজেপি পেয়েছে ১২৭৭টি ভোট। যা কিনা ওই ওয়ার্ডে বিজেপির প্রভাব বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেই।

Advertisement

এই অবস্থায়, দলীয় অফিস খুললে বিজেপির প্রভাব আরও বাড়বে, এমন আশঙ্কায় তৃণমূল বাধা দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। বাড়ি মালিক উত্তম দে বলেছেন “অভিযোগ জানিয়েছি। আমি শান্তিতে থাকতে চাই।” এলাকার বিজেপি নেতা স্বপন দে জানিয়েছেন, উত্তমবাবু না চাইলে ওঁর বাড়িতে অফিস হবে না। প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর সদানন্দ দাস বলেন, “পার্টি অফিস তৈরির গণতান্ত্রিক অধিকার সকলেরই রয়েছে। তবে আমাকে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন