বালুরঘাট কলেজ

হিসেব চেয়ে স্মারকলিপি, ফের গোলমালের আশঙ্কা

বালুরঘাট কলেজের ছাত্র সংসদের বিভিন্ন দফতরের বরাদ্দ টাকা ও খরচের হিসাব চেয়ে অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হলেন একদল ছাত্র। কলেজ সংসদটি টিএমসিপির বিপ্লব মিত্র অনুগামী গোষ্ঠীর দখলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৫ ০২:২৮
Share:

বালুরঘাট কলেজের ছাত্র সংসদের বিভিন্ন দফতরের বরাদ্দ টাকা ও খরচের হিসাব চেয়ে অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হলেন একদল ছাত্র। কলেজ সংসদটি টিএমসিপির বিপ্লব মিত্র অনুগামী গোষ্ঠীর দখলে। শনিবার যে সমস্ত ছাত্র কলেজ অধ্যক্ষকে লিখিত স্মারকলিপি দিয়ে ওই হিসাব চেয়েছেন তারা মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী অনুগামী তৃণমূল নেতা সুবোধ দাস গোষ্ঠীর বলে পরিচিত। ফলে শুক্রবার বালুরঘাট কলেজে টিএমসিপি সমর্থক দু’দলের মধ্যে মারপিটের পর ফের এ দিন দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

এ দিন লিখিত স্মারকলিপিতে টিএমসিপির কলেজ সংসদের কালচারাল এবং ডিবেট কমিটির প্রতিনিধি জয়দীপ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, চলতি বছরে ছাত্র সংসদের বিভিন্ন খাতে যেমন গার্লস কমনরুম, বয়েজ কমনরুম এবং সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগ থেকে লক্ষাধিক টাকা দফতরের সম্পাদকের স্বাক্ষর ছাড়াই তুলে নেওয়া হয়েছে। যে টাকা তোলা হয়েছে কী ভাবে কোন কাজের জন্য খরচ করা হয়েছে তা তাঁদের নজরে আনা হোক। পাশাপাশি প্রতিটি বরাদ্দ ও খরচের প্রতিলিপি ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রকাশ করার জন্যও তাঁরা অধ্যক্ষকে আবেদন করেন।

তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লববাবু অনুগামী কলেজ সংসদের সাধারণ সম্পাদক ভীম হালদারের বক্তব্য, অনুমতি নিয়ে নিয়মের মধ্যে খরচ হয়েছে। যে দেড় দু’লক্ষ টাকা পাওয়া যায়, তাতে কলেজ সোশ্যালের মতো বড় মাপের অনুষ্ঠানের খরচ সঙ্কুলান হয় না বলে বয়েজ ও গার্ল কমনরুমের কিছু টাকা খরচ করা হয়। যারা হিসেব চেয়েছে তারা সংসদেরই সদস্য। তাঁদের হিসাব জানতে কোনও বাধা নেই। ভীমের অভিযোগ, ‘‘বাইরের কলেজের ছাত্র ভর্তির জন্য ওদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ওরা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ২০-৩০ টাকা করে আদায় করত। আমরা আপত্তি করে তা বন্ধ করার পর ওরা আলাদা দল করে বিরোধিতায় নেমেছে।’’ কলেজ অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ডু বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

এ দিকে বালুরঘাটের আইন কলেজের পরিস্থিতি এখনও থমথমে। এদিনও কলেজে যাননি কোনও ছাত্রছাত্রী। এ দিন নতুন করে এক অভিভাবক, মন্ত্রী অনুগামী তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকির ছেলে শাশ্বত-সহ দলের সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় হামলা চালানোর অভিযোগ দায়ের করেছেন। শুক্রবার বিপ্লব অনুগামীদের পক্ষ থেকে সুভাষবাবু অনুগামী ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই নিয়ে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে বিপ্লববাবুর অনুগামীদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল। পাল্টা সুভাষবাবুদের তরফে বিপ্লববাবু অনুগামী ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ দু’পক্ষের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন