মাটি খুঁড়ে কেঁচো বের করতে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল আস্ত সাপ, তা-ও আবার কেউটে। সোমবার রাতে উত্তর বন্দর থানার চাঁদপাল ঘাটে চরস পাচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর এ কথাই ফিরছে পুলিশ মহলে।
পুলিশ জানিয়েছে, চরস পাচারের অভিযোগে জয়প্রকাশ মাহাতোকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের থেকে এক কেজি ১৫৫ গ্রাম চরস উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি হাওড়ার নিশ্চিন্দায়। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ২০ জুন পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক জন চরস পাচারকারী হিসাবে নাম ছিল ধৃত জয়প্রকাশের। কিন্তু গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে জানা যায়, সে কন্টেনার কেটে বিভিন্ন সামগ্রী উধাও করত। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ‘‘জয়প্রকাশ পুলিশের খাতায় এক জন দাগী দুষ্কৃতী। ভিন দেশে মাদক সরবরাহ করত জয়প্রকাশ। যে কারণে ও দেশে-বিদেশে জাল বিস্তার করেছে। আন্তর্জাতিক মাদকপাচার চক্রের মূল পাণ্ডা।’’ পুলিশি জেরায় জয়প্রকাশ জানিয়েছে, একইসঙ্গে কন্টেনার কেটে মাল উধাও করার কারিগরও সে। কন্টেনার কেটে মাল উধাও করতে সে বন্দর, ডানকুনি, হাওড়া, খড়্গপুরের মতো জায়গাকে বেছে নিত।
আরও পড়ুন: ‘পাঁঠা-চোর’ ধরে বিস্মিত পুলিশও
সম্প্রতি বন্দর এলাকায় দস্তাভর্তি কন্টেনারের সিল খুলতে গিয়ে তাজ্জব বনে গিয়েছিল পুলিশ। দেখা গিয়েছিল, কন্টেনার থেকে উধাও দস্তার বাঁট। পরিবর্তে বালিতে ভর্তি ছিল ওই কন্টেনার। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্ধ কন্টেনার কেটে আসল সামগ্রী উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েক মাসে এই ধরনের অপরাধ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফের বন্দরে কন্টেনারের সিল কেটে আসল মাল বের করে নকল সামগ্রী ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে সোমবার রাতে চরস পাচারের ঘটনায় ধৃত ব্যক্তি বন্দরের কন্টেনার কাণ্ডে জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘চরস পাচার কাণ্ডে ধৃত জয়প্রকাশ মাহাতোকে প্রাথমিক ভাবে জেরা করে বন্দরের কন্টেনার কাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’