by election

By-Election: জৌলুসহীন লড়াই জমি বিস্তার ও রক্ষার

চার জেলার যে চার কেন্দ্রে কাল, শনিবার উপনির্বাচন, তার মধ্যে কোচবিহারের দিনহাটা ও নদিয়ার শান্তিপুরে ৬ মাস আগের ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০৭
Share:

ফাইল চিত্র।

রাত পোহালে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন। বিধানসভা ভোট তো বটেই, এক মাস আগের ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের মতো উত্তেজনাও এ বার নেই। নিস্তরঙ্গ ভোটে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য রাজ্যে তাদের জনসমর্থন এবং আসন জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা। আর প্রধান বিরোধী দল বিজেপির প্রধান নজর ভোট এবং দল ধরে রাখার দিকে।

Advertisement

চার জেলার যে চার কেন্দ্রে কাল, শনিবার উপনির্বাচন, তার মধ্যে কোচবিহারের দিনহাটা ও নদিয়ার শান্তিপুরে ৬ মাস আগের ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। দিনহাটায় তৃণমূলের হার হয়েছিল মাত্র ৫৭ ভোটে। আর শান্তিপুর গত ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দু’বছর বাদ দিলে কখনওই তৃণমূলের হাতে ছিল না। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার পরে এখন শাসক দলের নজর ওই দুই আসনকেই এ বার নিজেদের ঝুলিতে আনার দিকে। দিনহাটা ও শান্তিপুরে দলের দুই সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। বিধানসভায় জিতেও তাঁরা বিধায়ক-পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এখন ৬ মাস আগে জেতা আসন হেরে গেলে বিজেপির পক্ষে তা বাড়তি বিড়ম্বনা হবে। স্বভাবতই তারা বেশি নজর দিয়েছে ওই দু’টি আসনের দিকে। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা কেন্দ্রে অবশ্য ৬ মাস আগে তৃণমূলই জয়ী হয়েছিল। বিধায়কদের মৃত্যুতে সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে।

উপনির্বাচনের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামেননি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য চার কেন্দ্রেই গিয়েছিলেন। রাজ্যের এক ঝাঁক মন্ত্রী দফায় দফায় চার কেন্দ্রে ঘুরে প্রচার করেছেন। বিজেপির তরফে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষেরা প্রচারের ময়দানে ছিলেন। তবে প্রচার ঘিরে আগের জৌলুস ছিল না। বামেরা অবশ্য কৌশলগত ভাবেই প্রচার বেঁধে রেখেছিল নিচু তারে, এলাকা এবং বাড়ি বাড়ি ঘোরার উপরেই জোর ছিল তাদের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দাবি, বাংলাদেশে শারদোৎসবের সময়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তার জেরে শান্তিপুর বা দিনহাটার মতো কেন্দ্রে বিজেপির ভোট তিন গুণ বাড়বে। শাসক দলকে ‘ভয়’ না পেয়ে মানুষকে বেরিয়ে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিজেপির দাবি এক কথায় উড়িয়ে দিচ্ছেন শাসক দলের নেতৃত্ব। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে যেমন খুশি অনেক কথাই বলে দেওয়া যায়! যে মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতারা বক্তৃতা করেছেন, তার সামনে কত মানুষ ছিলেন দেখলেই বোঝা যাবে মানুষ কী চান।’’ তৃণমূলের দাবি, উপনির্বাচনের ফল হবে ৪-০!

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন