জাতীয় রাজনীতিতে মাথা তোলার পরিকল্পনা আপাতত ঠান্ডা ঘরে। উত্তরপ্রদেশে ভোটের পরে বাংলার জমি ধরে রাখার কাজেই মন দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরে গেরুয়া ঝড় এবং হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে নারদ-অস্বস্তির পর আজ, শনিবার দলের কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল নেত্রী। ওই বৈঠকে দলীয় নেতাদের তিনি পাখি পড়ানোর মতো বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলায় তাঁদের কী কী করতে হবে, এবং তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ— কী কী করা যাবে না!
গত বিধানসভা ভোটে একা দু’শো পেরোতেই মমতা বুঝিয়েছিলেন, তাঁর চোখ এ বার দিল্লিতে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে সেই উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়েও ছিলেন তিনি। ঘন ঘন দিল্লি গিয়েছিলেন। রাহুল-অখিলেশের পাশে থেকে তাঁদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে মোদী একা তিনশো পার করার পর তৃণমূলের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। বিশেষ করে রাহুলের ভূমিকায় হতাশ মমতা। তিনি বুঝতে পারছেন কংগ্রেস নিজের মাজা শক্ত করতে না-পারলে মোদী-বিরোধী জোট গঠনের জন্য সময় দেওয়ার অর্থ নেই। আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, কর্নাটকের মতো যে সব রাজ্যে ভোট, সেখানে মোদীর মোকাবিলা করতে হবে রাহুলকেই। কংগ্রেস সাফল্য পেলে তবেই আবার বিরোধী জোট গঠনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন: সবুজ পতাকা, বিতর্কে সাধন
পাশাপাশি দলের পুরনো নেতাদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলতে পারেন নেত্রী। কারণ, ওই নেতাদের অনেকেই সংগঠন ও সরকারে ব্রাত্য। অভিমান করে তাঁরা বিজেপির দিকে ঝুঁকতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে দলে। ফলে তাঁদের মানভঞ্জনের কথা মাথায় রাখছেন মমতা। সেই সঙ্গে লাগাতার জেলা সফর করে বুঝে নিতে চাইছেন সংগঠনের হালহকিকত।