হাওড়ায় ট্রেন বাতিলে দুর্ভোগ

রেল সূত্রের খবর, হাওড়া স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বাড়ানো এবং বেলুড়ে একটি ইয়ার্ডের ‘নন-ইন্টারলকিং’-এর কাজের জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রোজই বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় পালশিটের কাছে চতুর্থ লাইন চালু করার কাজ চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:১৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

রেলের কাজের জেরে অন্তত ২০টি লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছিল হাওড়ায়। তার জেরে শনিবার ভোগান্তি পোহাতে হল হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার যাত্রীদের। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, অতিরিক্ত ভিড়ের জেরে এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ৫ এবং ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রীতিমতো পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রেলের তরফে বিশেষ কোনও তৎপরতা ছিল না বলেও যাত্রীদের একাংশের দাবি।

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, হাওড়া স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বাড়ানো এবং বেলুড়ে একটি ইয়ার্ডের ‘নন-ইন্টারলকিং’-এর কাজের জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রোজই বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় পালশিটের কাছে চতুর্থ লাইন চালু করার কাজ চলছে। ওই কাজের জন্যও মাঝেমাঝে বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হচ্ছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কাজ চলবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। সে সময় ট্রেন বাতিলের জেরে কী ঘটনা ঘটবে তা নিয়েও আশঙ্কিত অনেকে।

এ দিন সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। হাওড়া থেকে ১৪টি ট্রেন, বেলুড় থেকে ১টি, শেওড়াফুলি থেকে ৬টি, শ্রীরামপুর থেকে ১টি এবং ব্যান্ডেল থেকে ২টি ট্রেন বাতিল করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রেন বাতিল করা হলেও এক দিনে একসঙ্গে এতগুলি ট্রেন এর আগে বাতিল করা হয়নি। নিত্যযাত্রীদের অনেকেই জানান, পাশাপাশি দু’টি প্ল্যাটফর্মে আরামবাগ এবং তারকেশ্বর লোকাল এসে থামার পর দু’টি ট্রেন থেকে নেমে আসা যাত্রীদের সঙ্গে প্রবল ঠেলাঠেলির উপক্রম হয় প্ল্যাটফর্মে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের। সেই ভিড় ঠেলে যাতায়াত করতে গিয়ে হিমশিম খান অনেকেই।

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, সরস্বতী পুজোর আগের দিন এই ট্রেন বাতিলের জেরে দুর্ভোগ চরমে ওঠে বলে যাত্রীরা জানান। এ-ও অভিযোগ, ট্রেন বাতিল করা নিয়ে রেলের তরফ থেকে যথেষ্ট প্রচার করা হয়নি। যে কোনও অনুষ্ঠানের আগের দিন অনেকেই শহরে আসেন। সে কথা না ভেবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে সুরক্ষার বিষয়টিও গুরত্বপূর্ণ। সে দিকে তাকিয়েই ওই কাজ করতে হচ্ছে। ৫ এবং ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কেন কাছাকাছি সময়ে দু’টি ট্রেন দেওয়া হল, খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন