তৃণমূলের মারে জখম রায়নার ওসি

বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে তৃণমূলের লোকজনের হাতে বেধড়ক মার খেলেন বর্ধমানের রায়না থানার ওসি। তাঁর মাথার চোট গুরুতর। বর্ধমানে একটি নার্সিংহোমে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:৩৭
Share:

বোমা উদ্ধার করতে গিয়ে তৃণমূলের লোকজনের হাতে বেধড়ক মার খেলেন বর্ধমানের রায়না থানার ওসি। তাঁর মাথার চোট গুরুতর। বর্ধমানে একটি নার্সিংহোমে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে।

Advertisement

গত বছর বীরভূমে রাজনৈতিক সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বোমায় জখম হয়ে মৃত্যু হয় দুবরাজপুর থানার অফিসার অমিত চক্রবর্তী। এর পরেও রাজ্যের নানা জায়গায় পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। সর্বশেষ সংযোজন রায়না।

পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রামে বোমা ঢুকছে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়নার জ্যোৎসাদি গ্রামে যান ওসি সঞ্জয় রায়। সেই সময় পাশের সমস্তপুর গ্রাম থেকে বোমা ও বোমার মশলা নিয়ে দু’টি মোটরবাইকে কয়েক জন গ্রামে ঢুকছিল। কয়রাপুকুর ক্যানাল পাড়ে পুলিশ মোটরবাইক দু’টিকে ধরে। পুলিশ জানায়, অন্ধকারে পিছন থেকে ওসি-কে মাথায় মারে একজন। পড়ে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। পরে থানা থেকে বড় পুলিশ বাহিনী গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে আনে। রাতে এসডিপিও কার্তিক মণ্ডলের নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী এলাকায় তল্লাশিও করে।

Advertisement

সিপিএমের অভিযোগ, ওসি বোমা-সহ তৃণমূলের দু’জনকে ধরেন। তাতেই দলের অন্যেরা হামলা করে ধৃতদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উদয় সরকারের অভিযোগ, ‘‘ঘটনাটি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই ঘটেছে।’’ রাজ্যের মন্ত্রীর তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা ষে দলেরই হোক না কেন, তাদের ধরার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।’’ বর্ধমানের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা আমরা খুঁজে দেখছি। এলাকায় তল্লাশি চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন