জেএমবি জঙ্গি নেতা কওসর।
দলাই লামার বুদ্ধগয়া সফরের মুখে সেখানে শুধু বিস্ফোরণের ছক কষেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। ১৯ জানুয়ারি, বিস্ফোরণের দিন কালচক্র ময়দানের কাছেপিঠে হাজির ছিল কওসর বা বোমারু মিজান-সহ জামাতুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতারা। ছক বানচাল হয়ে যাওয়ায় দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা। কওসর এবং শাগরেদদের জেরা করে এই তথ্য মিলেছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তাঁরা জানান, কওসরেরা পটনা ও আশেপাশে গা-ঢাকা দেয়। সেখান থেকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ ভারতে।
একটি গোয়েন্দা সূত্র জানাচ্ছে, কালচক্র ময়দানে বিস্ফোরক রেখেছিল দিলওয়ার হাসান নামে এক জঙ্গি। বুধবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডে তাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে দিলওয়ারকে ২৩ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
বিহার থেকে পালিয়ে হায়দরাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুতে বারবার ঠাঁই বদলাতে থাকে কওসরেরা। কখনও তারা ফেরিওয়ালার কাজ করত, কখনও নিত শ্রমিকের ভূমিকা। কওসরের সঙ্গে থাকত তার স্ত্রী জিনাতুন্নিসা এবং শ্যালক কদর গাজি। কওসর মোবাইল ব্যবহার করত না। জিনাতই তার হয়ে যোগাযোগ রাখত। একটি সূত্রের দাবি, তেলঙ্গানার সন্ত্রাস দমন শাখার গোয়েন্দারাই জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর দেন। সেই সূত্র ধরে এগিয়েই কওসর এবং তার শাগরেদদের খোঁজ মেলে।