যাদবপুরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হারিয়ে শুরু তাঁর রাজনৈতিক ইনিংস। পুরস্কার হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভায় বিদ্যুৎ দফতর পেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলেই চর্চা ছিল, প্রাক্তন আমলা মণীশ গুপ্ত প্রশাসকই রয়ে গিয়েছিলেন। তৃণমূল হননি! এ বার সেই মণীশবাবুকেই দেখা যাচ্ছে সক্রিয় হয়ে উঠতে। উপনির্বাচনের দিন তৃণমূল ভবনে বসে খবরাখবর নিয়েছেন। মানস ভুঁইয়ার মতো নেতার কাছ থেকে সংসদীয় রাজনীতি সম্পর্কে পরামর্শ শুনেছেন। ফল ঘোষণার দিনেও একই রকম সক্রিয় দেখা গেল তাঁকে। এর পিছনে রহস্যটা কী? তৃণমূল সূত্রে ইঙ্গিত, দক্ষিণ কাঁথি থেকে বিধানসভায় ফেরার রাস্তা প্রায় পরিষ্কারই হয়ে গিয়েছে তাঁর। গত বিধানসভা ভোটে মণীশবাবুর হারের পরেই মমতা দলে জানিয়েছিলেন, প্রশাসনের কাজে তাঁকে দরকার। বিদ্যুৎ দফতরে উপদেষ্টার ভূমিকায় রাখা হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী সাংসদ হয়ে যাওয়ায় ওই বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে মণীশবাবুকেই পছন্দ তৃণমূল নেত্রীর। শাসক দ লের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ভোটের জন্য একটু রাজনীতি তো করতেই হয়!’’