সারদা, নারদ তদন্তের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠককে নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, বিজেপি আর তৃণমূলে বোঝাপড়ার নতুন অধ্যায় শুরু হল। কলকাতায় হুঙ্কার আর দিল্লিতে দরবারের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেত্রীকে ‘দ্বিচারিতা’র অভিযোগেও বিঁধছেন অধীর চৌধুরী, মহম্মদ সেলিমেরা। এ সবের মোকাবিলায় এ বার বিজেপি-ও মমতার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার পাল্টা অভিযোগে আক্রমণে গেল।
রাজ্যের লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে সফরের কর্মসূচি উপলক্ষে মঙ্গলবার কলকাতায় ছিলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতা শাহনওয়াজ হোসেন। বাগুইআটির জোড়ামন্দির এলাকার একটি হোটেলে দলের কর্মিসভায় এ দিন তাঁর মন্তব্য, ‘‘মমতাদি কলকাতায় বসে বিজেপি’কে গাল দিচ্ছেন। আবার দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিচ্ছেন! দিল্লির থেকে টাকা চাইছেন। আর সেই টাকা দিয়ে লাঠি কিনছেন বিজেপির লোকজনকে পেটাবেন বলে!’’ শাহনওয়াজের এই বক্তব্য ছিল কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্যই। বিজেপি যে সমঝোতা করছে না, বরং তৃণমূলই দ্বিচারিতা করছে— এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মমতা আবার সমঝোতার রাস্তায় যেতে পারেন, এমন আশঙ্কা ছিল রাজ্য বিজেপিতেও। কারণ, তাঁরাও ঘরপোড়া গরু! বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কয়েক দিন আগেই কলকাতায় দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও শিবপ্রকাশের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, অনেক কষ্টে আগুন জ্বালানো হয়েছে। দয়া করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আবার যেন জল ঢেলে না দেন! নারদ-কাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ, ধর্মতলা থেকে রবীন্দ্র সদন মিছিলের পরে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার কথা বিজেপি নেতৃত্বের।