‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের বিশ্বখেতাবের জন্য রাজ্য সরকারের প্রশংসা করলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা। কন্যাশ্রী প্রকল্পের বিশ্বসেরার শিরোপাপ্রাপ্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাতে শাসক দলের তরফে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই আলোচনাতেই অংশ নিয়ে শুক্রবার বিরোধী বাম ও কংগ্রেস বারবার অভিযোগ করলেন এ রাজ্যের নারী পাচার ও নারী নির্যাতনের অন্ধকার এখনও বাস্তব।
নেদারল্যান্ডস-এর দ্য হেগ শহরে জুনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়ার্ল্ড পাবলিক সার্ভিস ফোরাম পশ্চিমবঙ্গের ‘কন্যাশ্রী’-কে সেরা সমাজসেবার স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু সেই সেরার স্বীকৃতি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ একা পায়নি বলে এ দিন বিধানসভায় বাম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য অভিযোগ করলে হট্টগোল শুরু হয়। তন্ময়বাবু বলেন, ‘‘৮ জনের মধ্যে এক জন সেরা আর একাই শ্রেষ্ঠ— দু’টোর তো সমান অর্থ হয় না। আরও অনেকের সঙ্গে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে কন্যাশ্রী, সেটা বলুন।’’ যার জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী তন্ময়বাবুকে পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন,
‘‘দেশের, বাংলার সম্মান এর সঙ্গে জড়িয়ে। ব্যাখ্যা না দিয়ে স্বীকৃতিকে সম্মান করুন। একে খাটো করার চেষ্টা করবেন না।’’ রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘তিনটে ভাগে রাষ্ট্রসঙ্ঘ পুরস্কার দিয়েছিল। প্রথম ভাগেই ছিল দরিদ্রতম ও প্রান্তিক মানুষের জন্য পরিষেবা। সেই পরিষেবা দেওয়ার জন্যই কন্যাশ্রী বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেয়েছে।’’
বিরোধীদের বক্তব্য, ১৫ বছরের কম বয়সীদের যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার মতো অভিযোগও নিয়মিত আসছে। নারী পাচারও কমেনি। মাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বধূ নির্যাতনের ঘটনাও কেন এ রাজ্যে কমছে না, সে ব্যাপারে সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানান কংগ্রেসের প্রতিমা রজক।