পথে: ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মসূচিতে পরেশ। নিজস্ব চিত্র
যতই জল্পনা চলুক ফরওয়ার্ড ব্লক ছাড়ছেন না বলে বুধবার কর্মী সমর্থকদের বার্তাই দিলেন দলের কোচবিহার জেলা সম্পাদক পরেশচন্দ্র অধিকারী। দলের জেলা সভাপতি অক্ষয় ঠাকুরকে পাশে বসিয়ে পরেশবাবু জানান, তিনি রাজ্য সরকারের দেওয়া চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করবেন কি না সে বিষয়ে দলই শেষ কথা বলবে।
এ দিন ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে থানা ও মহকুমাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, অসমে নাগরিক পঞ্জি চালু-সহ স্থানীয় বেশ কিছু বিষয় নিয়ে এ দিনের কর্মসূচিতে কেমন ভিড় হবে তা নিয়েও জল্পনা ছিল। কারণ বাম আমলের খাদ্যমন্ত্রী পরেশবাবু ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বলে বেশ কয়েক দিন ধরেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। তবে এ দিন মেখলিগঞ্জ শহরে ভিড় দেখে খুশি ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা।
তবে পরেশবাবু কি সিদ্ধান্ত নেন তা জানতে আগ্রহী বলেই কর্মী-সমর্থকরা অনেকে আসেন বলে মনে করছেন দলেরই অনেক নেতা-কর্মী। এ দিনের কর্মসূচিতে অক্ষয় ঠাকুর বলেন, ‘‘নেতাজির আদর্শে দীক্ষিত পরেশবাবু ফরওয়ার্ড ব্লক ছাড়ছেন এটা হতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই সংগ্রাম করে তৈরি করা এই দল ছাড়ছেন না পরেশবাবু।’’ পরেশবাবুও বক্তব্যের শুরুতেই বলেন তিনি কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এটা নিয়ে সকলের মধ্যেই কৌতুহল তৈরি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এমনকী কোন দলের পতাকা নিয়ে আজকের কর্মসূচি হবে সেটা নিয়েও কিছু সমর্থক চিন্তায় ছিল। কিন্তু এ দিনের কর্মসূচির পর আর প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই যে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকেই আছেন।’’
পরে পরেশবাবু দাবি করেন, বিধায়ক থাকাকালীন এলাকার উন্নয়ন-সহ অন্য বিষয় নিয়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসক নেই, রাস্তাঘাট খারাপ, এমনকী চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের কাজকর্ম ঠিকমতো হচ্ছে না। তাঁর কথায়, ‘‘এ সব নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে জানালে তিনি বলেন ‘আপনাদের মতো লোক আমাদের প্রয়োজন।’ এমনকী দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন।’’ পরেশবাবু জানান, পরে তিনি জানতে পারেন চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে তাকে।
পরেশবাবু ওই পদ গ্রহণ করবেন কি না তা নিয়ে এ মাসের ১৫ তারিখ ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি। পরবর্তীতে তা রাজ্য কমিটিতে যাবে বলে জানান দলের রাজ্য সম্পাদকমন্ডলের সদস্য তথা জেলা সভাপতি অক্ষয় ঠাকুর। তবে ফরওয়ার্ড ব্লক যে তৃণমূলের শরিক হচ্ছে না তা স্পষ্ট করে দেন তিনি।