Rabindra Bharati University

ইস্তফা নয়, কাজ চালিয়ে যান, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যকে বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উপাচার্যকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছি। উনিও তাতে রাজি হয়েছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ১৬:৪৯
Share:

রবীন্দ্রভারতী কাণ্ডের নিন্দায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র

পিঠে ‘অশ্লীল’ শব্দ লিখে রবীন্দ্রভারতীতে বসন্ত উৎসবে তরুণ-তরুণীদের যোগ দেওয়া ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ইস্তফা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। গোটা এই কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই দাঁড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘উপাচার্যকে বলেছি, কাজ চালিয়ে যেতে।’’ তিনিও তাতে সম্মত হয়েছেন বলে দাবি শিক্ষামন্ত্রীর। তবে এ দিন ফের এই ঘটনার নিন্দাও করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

Advertisement

ইস্তফার কারণ হিসেবে উপাচার্য বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কাণ্ড ঘটেছে, তাতে তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। সেই নৈতিকতার দায় নিয়েই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘এটা সমাজের একটা ব্যাধি। আমি বলেছি, তার দায় আপনি কেন নিতে যাবেন। আমি তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছি। উনিও বলেছেন, কাজ চালিয়ে যাবেন।’’

অভিযুক্তরা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও পুলিশকে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়েও। কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও নজরদারি ছিল না, অথবা নজরে আসার পরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, এমন প্রশ্নও উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রীর মতে বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক কাজই করেছে। কর্তৃপক্ষের যা করণীয় সেটাই করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ওরা ভুল করেছে, কিন্তু কোনও অপরাধ করেনি

আরও পড়ুন: এ সব ‘ভাইরাল’ হওয়ার হিড়িক ‘পাবলিক’ বেশি দিন আর খাবে না

যাঁরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সমাজের নানা মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘আমি খুব পরিষ্কার ভাষায় বলি, এটা একটা রোগ। আমরা দলমত নির্বিশেষে সমাজকে সচেতন করব। আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে প্রচার করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের প্রচার করে সমাজের যে কতটা ক্ষতি হচ্ছে, সেটা তাঁদের বোঝা উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement