Partha Chatterjee

কারারক্ষীদের আনা হোক রাজ্য পুলিশের ছাতার নীচে, ঘনিষ্ঠ মহলে ইচ্ছাপ্রকাশ পার্থের

মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি গঠন করেছিলেন পার্থ। সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। পরে তা ভেঙে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৭
Share:

কারারক্ষীদের এ বার রাজ্য পুলিশের ছাতার তলায় আনা হোক, এমনটাই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ। — ফাইল ছবি।

২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি গঠন করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে তা ভেঙে যায়। কারারক্ষীদের এ বার রাজ্য পুলিশের ছাতার তলায় আনা হোক, এমনটাই চান নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ। আদালতে এসে ঘনিষ্ঠ মহলে সেই ইচ্ছাই প্রকাশ করেছেন তিনি। চেয়েছেন, এই বিষয়টি পৌঁছে যাক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি সুবিবেচনা করুন।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো ২০১১ সালে বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি গঠন করেছিলেন পার্থ। সঙ্গে ছিলেন প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। পরে তা ভেঙে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে পার্থ জানিয়েছেন, যে হেতু সমিতি ভেঙে গিয়েছে, তাই এখন জেলে যাওয়ার পর থেকে তাঁর মনে হয়েছে রাজ্যের কারারক্ষীদের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ছাতার তলায় আনা দরকার।

পার্থ এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাতে চেয়েছেন। তিনি মনে করেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই সমিতি গড়া হয়েছিল, তা মনে রেখে কারারক্ষীদেরও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অধীনে আনা দরকার। বৃহস্পতিবার আদালতে চত্বরে এসে ঘনিষ্ঠ মহলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়টি সুবিবেচনা করার আবেদন জানান পার্থ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পার্থ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মোট ১৪ জনকে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হয়। সাত দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আবার হবে শুনানি। তবে আদালতে ঢোকার মুখে বৃহস্পতিবার পার্থকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। তিনি নীরবই ছিলেন। পার্থের অনুগামী কয়েক জনকে আদালতের বাইরে তাঁর পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। সেই স্লোগান শুনতে শুনতেই আদালত কক্ষে নীরবে ঢুকে যান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগে অবশ্য পার্থকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘চোর’ স্লোগান উঠেছিল একাধিক বার। বৃহস্পতিবার অন্য স্লোগানই উঠল। বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন অনেকেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন