Partha Chatterjee

আর ‘চোর’ নয়, পার্থকে দেখে এ বার ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান! শুনে নীরবই রইলেন প্রাক্তন মন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পার্থ, সুবীরেশদের আলিপুরের জেলা দেওয়ানি ও দায়রা আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতের বাইরে কয়েক জন ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৩:২৮
Share:

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত মোট ১৪ জনকে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসা হল বৃহস্পতিবার। সাত দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের হবে শুনানি। তবে আদালতে ঢোকার মুখে বৃহস্পতিবার পার্থকে কিছু বলতে শোনা গেল না। তিনি নীরবই রইলেন।

Advertisement

পার্থের অনুগামী কয়েক জনকে আদালতের বাইরে তাঁর পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’ স্লোগান তোলেন তাঁরা। সেই স্লোগান শুনতে শুনতেই আদালতকক্ষে নীরবে ঢুকে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

এর আগে অবশ্য পার্থকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘চোর’ স্লোগান উঠেছিল একাধিক বার। বৃহস্পতিবার তেমন কিছু শোনা যায়নি। ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগানের ‘তাৎপর্য’ রয়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

Advertisement

গত বর্ষায় গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। তার পর থেকে বন্দিজীবন কাটিয়ে ফেলেছেন আট মাস। সেই আট মাসের হিসাব দিয়ে আদালতে পাঁচ মিনিট বলতে চেয়েছিলেন পার্থ। বৃহস্পতিবার বলার সুযোগও পেয়েছিলেন। সেই পাঁচ মিনিটে আত্মপক্ষ সমর্থনে দীর্ঘ আর্জি জানান পার্থ। একই সঙ্গে বলেন, ‘‘আমার আশা, সত্যের জয় হবে। আইনের উপর আমার আস্থা আছে।’’ পাশাপাশি, সিপিএম এবং বিজেপি নেতাদের নাম করে চাকরির সুপারিশের অভিযোগও করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়।

পার্থ সে দিন বলেছিলেন, ‘‘যে সুজন চক্রবর্তী, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? ২০০৯-১০-এর সিএজি রিপোর্ট পড়ুন। সমস্ত জায়গায় তদ্বির করেছেন কারণ, আমি তাঁদের বলেছি করতে পারব না! আমি নিয়োগকর্তা নই। এ ব্যাপারে কোনও সাহায্য তো দূরের কথা, আমি কোনও কাজ বেআইনি করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারীর ২০১১-১২ সালটা দেখুন না! ডিপিএসসি-টা কী করেছিলেন।’’ আদালতে মুখ খোলার পরেই কি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ‘চোর’ অপবাদ ঘুচল? স্লোগান বদলে গেল ‘জিন্দাবাদ’-এ?

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পার্থ, সুবীরেশদের আলিপুরের জেলা দেওয়ানি এবং দায়রা আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা, চন্দন মণ্ডল, প্রদীপ সিংহ, প্রসন্ন রায় প্রমুখ।

এর আগে ২৩ মার্চ শুনানিতে বিচারক পার্থের আরও সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের আদালতে তোলা হল। পার্থের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যান্য অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়দেরও ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন