তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে ফের শৃঙ্খলা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হল শাসক দলের ছাত্র সংগঠনকে।
কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ায় সাহায্য করার নামে টাকা তোলা যাবে না বলে ছাত্র সংগঠনকে ইতিমধ্যেই পরামর্শ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ উপলক্ষেও চাঁদা তোলা যাবে না বলে রবিবার প্রস্তুতি বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ব্যানার-হোর্ডিং লাগানোর ক্ষেত্রেও দলের নীতি মেনে চলতে হবে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সংগঠনের নেতারা নিজেদের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না প্রচারে। এই প্রথম টিএমসিপি-র সমাবেশের প্রস্তুতিতে যুব তৃণমূলকেও যুক্ত করা হয়েছে।
টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস ২৮ অগস্ট। মুখ্যমন্ত্রীই সে দিনের সমাবেশে মুখ্য বক্তা। কিন্তু ২৮ অগস্ট রবিবার হওয়ায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি থাকবে। পড়ুয়াদের সভায় আসতে সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ দু’দিন এগিয়ে ২৬ তারিখ করে নেওয়া হবে বলে তৃণমূল নেত্রীই জানিয়েছেন।
ছাত্র সংগঠনে বিশৃঙ্খলায় রাশ টানতে আরও কিছু পদক্ষেপ এখন করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পার্থবাবু যেমন এ দিনের বৈঠকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে টিএমসিপি নেতাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছেন। কে কোন বিষয়ে কোন বর্ষের ছাত্র বা উত্তীর্ণ হয়ে গেলে কত বছর আগে, সবই বিশদে জানাতে হবে জেলা টিএমসিপি নেতৃত্বকে। পড়ুয়া ছাড়া কেউ যেন সংগঠনে না থাকেন, সেটাই নিশ্চিত করতে চান পার্থবাবুরা। বিভিন্ন কলেজে বিরোধী ছাত্র সংগঠনের উপরে হামলা বা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের সংগঠনের মধ্যেও উত্তপ্ত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গিয়ে শাসক দলের বিড়়ম্বনার কারণ হয়েছে টিএমসিপি। দ্বিতীয় ইনিংসে সার্বিক ভাবে দলকে শৃঙ্খলার শৃঙ্খলেই বাঁধতে চাইছেন মমতা।
সূত্রের খবর, অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হওয়া সত্ত্বেও অফলাইনে ভর্তি করানোরও বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে সরকার তথা শাসক দলের নেতৃত্বের কাছে। পার্থবাবু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এর পরে এমন অভিযোগ পেলে কলেজের অধ্যক্ষের পাশাপাশি কলেজ ইউনিয়ন এবং সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।