বাতিল নোটে এক কোটি, আটক যাত্রী

কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। আর তার জেরেই ১ কোটি ২৫ লক্ষ নগদ টাকা-সহ ধরা পড়ে গেলেন এক বিমানযাত্রী। শুক্রবার সকালে হায়দরাবাদ থেকে এক যাত্রী আসেন কলকাতায়। গোপন সূত্রে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আগেই জানতে পেরেছিলেন আয়কর দফতরের অফিসাররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:০৪
Share:

কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আয়কর দফতর। আর তার জেরেই ১ কোটি ২৫ লক্ষ নগদ টাকা-সহ ধরা পড়ে গেলেন এক বিমানযাত্রী।

Advertisement

শুক্রবার সকালে হায়দরাবাদ থেকে এক যাত্রী আসেন কলকাতায়। গোপন সূত্রে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে আগেই জানতে পেরেছিলেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরেই তাঁর পথ আটকান তাঁরা। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। পুরোটাই সদ্য বাতিল হওয়া ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোটে।

আয়কর দফতর সূত্রের খবর, এই ব্যক্তির বাড়ি মহারাষ্ট্রের শোলাপুরে। আয়কর অফিসারদের ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, জামাকাপড় কিনতে তিনি ওই টাকা নিয়ে এসেছেন। কিন্তু কোথা থেকে তিনি এত টাকা পেলেন, তার সদুত্তর দিতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। কলকাতায় আয়কর দফতরে এনে রাত পর্যন্ত এই তাঁকে জেরা করা হয়। প্রাথমিক ভাবে আয়কর অফিসারদের অনুমান, জমিয়ে রাখা কালো টাকা খরচ করতেই ওই ব্যবসায়ী কলকাতায় এসেছেন। কার কাছ থেকে তাঁর জামাকাপড় কেনার কথা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

এক আয়কর কর্তার কথায়, ‘‘কেউ যাতে এ ভাবে বাতিল হয়ে যাওয়া নোট চালাতে না পারেন বা সেই নোট ব্যবহার করে এক সঙ্গে অনেক লেনদেন করতে না পারেন, সে জন্য আমাদের কড়া নজরদারি চলছে।’’ জানা গিয়েছে কেবল বিমানবন্দর নয়, টোল প্লাজা, বন্দর, শপিং মল, ব্যবসা কেন্দ্রেও নজরদারি হচ্ছে।

এই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী হাজার টাকার বদলে আটশো এবং পাঁচশোর বদলে চারশো টাকার খুচরো দেওয়ার ব্যবসা খুলে বসেছেন। তাঁদের অফিসগুলিতেও হানা দিতে শুরু করেছে আয়কর দফতর। শুক্রবার শেক্সপিয়ার সরণিতে এমনই এক অফিসে তল্লাশি চালান দফতরের অফিসাররা। এই ধরনের ব্যবসায়ী মানুষের থেকে বাতিল ৫০০ বা ১০০০ টাকা নিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে অল্প অল্প করে টাকা জমা দিচ্ছেন।

প্রতিটি ব্যাঙ্কে বৃহস্পতিবার থেকে ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট জমা পড়ছে। তার উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন আয়কর দফতরের ওয়েবসাইটে অবশ্য গ্রাহক নিজেই দেখে নিতে পারবেন তাঁর অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা পড়ছে। আয়কর কর্তার কথায়, ‘‘এক লপ্তে ১০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যাঙ্কে জমা পড়লেই আমরা খবর পেয়ে যাচ্ছি। সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) হিসেবে ব্যাঙ্ক সেই তথ্য আমাদের কাছে পাঠাচ্ছে। আমরা সেই সব লেনদেনের উপরেও নজর রাখছি।’’

সূত্রের খবর, কলকাতার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে এ রকম বেশ কিছু লেনদেনের খবর এসেছে।

কিন্তু কেউ কেউ তো বাজারে বা দোকানে এখনও ৫০০ টাকার নোট দিয়ে সব্জি-মাছ কিনছেন। তাঁদের কী হবে? আয়কর কর্তারা জানিয়েছেন, ওই ধরনের ছোটখাটো লেনদেনকে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু মোটা টাকার লেনদেন করলেই ধরা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন