অনলাইনে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর (আরটিজিএস পদ্ধতি) বদলে ধান বিক্রির টাকা এ বার হাতে হাতে চেকের মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার চেকে ধানের দাম মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ার উপরে নজরদারির জন্য আধিকারিকদের নিয়ে দু’টি দল গড়া হয়েছে। আমলাদের ওই দু’টি দলের উপস্থিতিতে চাষিদের চেক বিলি করবেন সরকারি প্রতিনিধিরা।
নজরদারির প্রথম দলটি গড়া হয়েছে ১৭ জন সিনিয়র অফিসারকে নিয়ে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক জন অবসরপ্রাপ্ত-সহ আট জন আইএএস অফিসার। বাকিরা ডব্লিউবিসিএস (এগ্জিকিউটিভ) অফিসার। বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলায় চেক বিলির সময় এক-এক জন আইএএস অফিসার হাজির থাকবেন। বাঁকুড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, দুই দিনাজপুর, মালদহ, হাওড়া, পুরুলিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে ডব্লিউবিসিএস অফিসার। কেন্দ্রীয় ধান সংগ্রহ কেন্দ্র (সিপিসি) এবং জেলা-ভিত্তিক ক্রয় কেন্দ্র (ডিপিসি)-এ চেক বিলি হবে।
আরও একটি বিশেষ নজরদারি দল তৈরি করেছে সরকার। সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে থেকে চেক বিলির প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখবে তারা।
কেন এমন নজরদারি?
প্রশাসনিক শিবিরের একাংশের ধারণা, চেক বিলির প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন বাদে চেকের মাধ্যমে ধান বিক্রির টাকা মেটানো হচ্ছে। ধান কেনার ব্যাপারে ১৯ ডিসেম্বর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই চেকে কৃষকদের দাম মেটানোর প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তার পরে খুব অল্প সময়ের মধ্যে চেকগুলি প্রস্তুত করতে হয়েছে। সেগুলো বিলি করার সময় পুরো প্রক্রিয়াটি যাতে ত্রুটিমুক্ত থাকে, প্রধানত সেটাই খেয়াল রাখবেন সংশ্লিষ্ট অফিসার এবং নজরদার দল। কোথাও কোনও সমস্যা হলে তা চটজলদি মেটানোর উপায়ও বার করতে হবে তাঁদের।
এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আগে আরটিজিএস পদ্ধতিতে ডেটাবেস প্রস্তুত ছিল। সেখানে কৃষকের নাম, একাধিক বার করে যাচাই করা অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু চাইলেই পাওয়া যেত। নতুন পদ্ধতিতে সবটাই পৃথক ভাবে করতে হচ্ছে। তাই অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে অফিসারদের।’’