Labour Code

শ্রম বিধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দুই শহরে

কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে চার বছরেও যে নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি, সেই অভিযোগ সামনে রেখে কৃষক আন্দোলনের পঞ্চম বর্ষপূর্তির সময়কে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:০৩
Share:

কেন্দ্রের শ্রম বিধির প্রতিবাদে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ও শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে সমাবেশ। ধর্মতলায়। — নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম বিধির বিরুদ্ধে একসঙ্গে পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হল শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনগুলি। সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ আহ্বানে বুধবার কলকাতায় মিছিল এবং তার পরে সমাবেশ ছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আগামী ২৩ ডিসেম্বর রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হল। একই দিনে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ও শ্রমিক সংগঠনগুলির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে প্রতিবাদ সমাবেশ হল দিল্লির যন্তর মন্তরে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে চার বছরেও যে নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি, সেই অভিযোগ সামনে রেখে কৃষক আন্দোলনের পঞ্চম বর্ষপূর্তির সময়কে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

শ্রম বিধি বাতিল, ১০০ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু, ফসলের ন্যায্য দাম আদায়-সহ একগুচ্ছ দাবিতে কলকাতায় এ দিনের সমাবেশে ছিলেন কিসান মোর্চার আহ্বায়ক অমল হালদার ও কার্তিক পাল, সিটুর রাজ্য সম্পাদক জিয়াউল আলম ও রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু, খেতমজুর ও গ্রামীণ শ্রমজীবী ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ, কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক পরেশ পাল, এআইসিসিটিইউ-এর রাজ্য সম্পাদক বাসুদেব বসু প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, চার শ্রম বিধির নামে শ্রমজীবী মানুষকে ‘দাসত্বে’র দিকে ঠেলে দেওয়ার এক ‘ফ্যাসিবাদী হামলা’ শুরু হল। কোনও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা আদেশনামা জারি করা হয়েছে চুপিসারে। বাম শ্রমিক নেতৃত্বের মতে, শ্রম যে হেতু যুগ্ম তালিকার এক্তিয়ারভুক্ত, তাই রাজ্য সরকারগুলি বিধি তৈরি না-করলে সাংবিধানিক সঙ্কট হতে পারে।

কেন্দ্রের শ্রম বিধির প্রতিবাদে সংযুক্ত কিসান মোর্চা ও শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে মিছিল। ধর্মতলায়। — নিজস্ব চিত্র।

সিটুর রাজ্য সম্পাদক জিয়াউল, কিসান মোর্চার অমল ও কার্তিক এবং খেতমজুর ইউনিয়নের তু‌ষার প্রমুখ এ দিনের সমাবেশে বলেছেন, দেশ ও রাজ্যে ‘কর্পোরেট-সাম্প্রদায়িক রাজ’ কায়েম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ধর্মের ধ্বজা রাম মন্দিরের উপরে উত্তোলন করছেন। এখানে রাজ্যে ‘চোর সরকার’ চলছে। দুই সরকারের ঠেলায় ১০০ দিনের কাজ না-থাকায় ২৩ লক্ষ মানুষ বাইরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তার পরে চলছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) নামে ‘ভয়’ দেখানো। বামপন্থী কৃষক ও শ্রমিক নেতৃত্বের ঘোষণা, ১০০ দিনের কাজ আবার চালু করা-সহ কয়েকটি দাবি নিয়ে আগামী ২৩ ডিসেম্বর রাজভবন অভিযান হবে। তুষারের বক্তব্য, ‘‘কৃষক ও খেতমজুরদের মনোভাব হবে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম। জনগণকে শামিল করতে হবে, আমাদের কৃষক-শ্রমিক সংগঠনগুলিকেও সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে যেতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন