ছুটির দিনে বাস অমিল, দুর্ভোগ

আর সরকারি নিগমগুলির বক্তব্য, লাভের গুড় যেখানে নেই, সেখানে বাস চালানো যাবে না। এমনই নির্দেশ পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। ওই নির্দেশ মানতে গিয়েই ছুটির দিন, বা শনি-রবিবার রাস্তায় দেখা নেই সরকারি বাসের।

Advertisement

অত্রি মিত্র

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০১
Share:

শনি, রবিবার কিংবা ছুটির দিন। রাস্তার ছবিটা একই রকম। বাস নেই। এমনকী, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসের সংখ্যা ক্রমশই কমতে থাকে শহরে। চরম ভোগান্তির মুখে প়ড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের।

Advertisement

কেন এমন হাল?

বেসরকারি বাসের মালিকেরা জানাচ্ছেন, এই ভাড়ায় বাস চালিয়ে লাভ নেই। ফলে, বাস ক্রমশ কমছে।

Advertisement

আর সরকারি নিগমগুলির বক্তব্য, লাভের গুড় যেখানে নেই, সেখানে বাস চালানো যাবে না। এমনই নির্দেশ পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। ওই নির্দেশ মানতে গিয়েই ছুটির দিন, বা শনি-রবিবার রাস্তায় দেখা নেই সরকারি বাসের।

বেসরকারি বাসমালিক সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস-এর নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া। অথচ, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাসের ভাড়া বা়ড়ছে না। স্বভাবতই বাস চালিয়ে ক্ষতি করতে চাইছেন না বাসমালিকেরা। যে দিনই কম যাত্রী হওয়ার আশঙ্কা থাকছে, সে দিনই আর গাড়ি বের করছেন না।’’ তপনবাবুর যুক্তি, ওলা, উবেরে বেশি টাকা রোজগারের লোভে অনেক বাসচালকই বাস চালানো ছেড়ে ছোট গাড়ি চালানোর কাজে যোগ দিয়েছেন। তপনবাবুদের অভিযোগ, চালক না পাওয়ায় বাস বের করতে পারছেন না অনেক বাস মালিক।

ক্ষতির আশঙ্কায় ছুটির দিন আর শনি, রবিবার বাস বের করছে না সরকারি নিগমগুলিও। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সাধারণ দিনে কলকাতা শহরে সরকারি বাস চলে ১২০০-র মতো। ছুটির দিনে বা শনি, রবিবার তা কমে ৭০০-য় দাঁড়ায়। পরিবহণ দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘ক্ষতি হবে জেনেও ফাঁকা বাস চালিয়ে যাওয়ার কোনও অর্থ নেই। সরকারের নীতি হল, অযথা ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, এমন ক্ষেত্রে বাস যত সম্ভব কম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন জরুরি পরিষেবা হওয়ার কারণে অফিসের দিনে চালক কন্ডাক্টরেরা ছুটি পান না। সে কারণে শনি ও রবিবার কিংবা ছুটির দিনে তাঁদের ছুটি দিতে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement