অবমাননা: ব্যানারে ঝোলানো জুতো। দাড়িভিটে। নিজস্ব চিত্র
দাড়িভিট কাণ্ডে স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ চার শিক্ষক ও এক শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল নিহতের পরিবারের লোকেদের। অভিযুক্ত শিক্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে স্কুলের পাঁচিলে তাঁদের ছবি দিয়ে ব্যানারও ঝুলিয়েছিলেন বাসিন্দারা। সোমবার স্কুলের গেটের কাছে সেই ব্যানারে জুতো ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই জুতো কে বা কারা ঝুলিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, যারা ওই জুতো ঝুলিয়েছে তারা নিহতদের পরিবারের আন্দোলনকে সমর্থন করছে কি না তা নিয়েও। এলাকার বাসিন্দা পবন সরকার বলেন, ‘‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভেই জুতো ঝোলানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আবার বদমাইসি করেও কেউ করল কি না, তা-ও দেখতে হবে।’’ তাঁর কথায়, এ ভাবে এলাকায় আবার উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাঁর মতো এলাকার আরও বাসিন্দারা দাবি করেছেন, সে কারণেই ঘটনাটি নিয়ে ভাল করে তদন্ত করা উচিত প্রশাসনের।
নিহত তাপসের বাবা বাদল বর্মণ বলেন, ‘‘কে করেছে, জানি না। তবে আমরা আমাদের আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আন্দোলন যাতে অন্য দিকে না যায়, সে দিকে খেয়াল রয়েছে।’’ নিহত রাজেশ সরকারেরর মা ঝর্নাদেবী বলেন, ‘‘এ দিন ধর্না মঞ্চে আসার সময় দেখলাম কে বা কারা ব্যানারে জুতো ঝুলিয়েছে। শিক্ষকদের উপরে ক্ষোভেই এমনটা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’’ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে পড়েনি।’’
এ দিন থেকে স্কুলে শুরু হয়েছে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা।
এ দিনই বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) জানিয়েছে, দাড়িভিটে দুই ছাত্রের খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে টানা আন্দোলনে নামবে তারা। সংগঠনের জেলা সংযোজক অসীমকুমার দে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশে সিআইডি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।’’ পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের বক্তব্য, ‘‘পুলিশ গুলি করেনি। কারা গুলি করেছে, তা জানতে সিআইডির তদন্ত হচ্ছে।’’