প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
পাখির চোখ ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাই ‘শহিদ দিবসের’ অনুষ্ঠানের ঠিক আগে বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দুর্গাপুরে মোদীর জনসভা। জনসভার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ৫০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলার জন্য ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (সিডিজি) প্রকল্পের (১৯৫০ কোটি টাকার) শিলান্যাস ছাড়াও দুর্গাপুর হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন-এর দুর্গাপুর থেকে কলকাতা (১৩২ কিলোমিটার) অংশটি দেশের জন্য উৎসর্গ করবেন। এটি প্রধানমন্ত্রী উরজা গঙ্গা প্রকল্পের অংশ। দুর্গাপুর ইস্পাত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৪৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার শিলান্যাস করবেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই রোজগারের সুযোগ বাড়বে বলে দাবি করছে কেন্দ্র। রেল পরিকাঠামোর উন্নয়নে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদী। তার মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়া-কলকাতা রেললাইন ডাবলিং (৩৬ কিলোমিটার)। এর ফলে জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদের কারখানাগুলির মধ্যে রেল সংযোগের সুবিধা বাড়বে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। প্রকল্পটি ৩৯০ কোটি টাকার।
প্রধানমন্ত্রী পৌঁছনোর তৃণমূলের বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ কীর্তি আজাদ অভিযোগ করেছেন, গোটা বাংলাই কেন্দ্রীয় বৈষম্যের শিকার। ১০০ দিনের কাজ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার প্রসঙ্গটি মনে করিয়ে দিয়েছেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা সাংসদ। কীর্তির কথায়, প্রধানমন্ত্রীর অনেক শূন্যগর্ভ বক্তৃতা শুনেছে বাংলার মানুষ। সেখানে বন্ধ হয়ে যাওয়া কলকারখানা খোলা, চাকরির সুযোগ বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তিনি।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে