সঙ্গী দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে জেরার মুখে গোয়েন্দাদের জানিয়েছিল, রানাঘাটের কনভেন্ট স্কুলে ডাকাতির অন্যতম মূল চক্রী নজু এবং সে-ই বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করেছিল। ঘটনার তিন মাসেরও বেশি সময় পরে, বুধবার বিকেলে গোয়েন্দাদের হাতে সেই নজু ধরা পড়ল শিয়ালদহ স্টেশনে।
পুলিশ জানায়, এর আগে ওই ঘটনায় পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। দুই অভিযুক্ত এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার নজুকে রানাঘাট আদালতে তোলা হবে।
১৩ মার্চ রাতে দুষ্কৃতীরা ওই স্কুলে হানা দেয়। টাকা লুঠের সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের এক বৃদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণও করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলে দেশ জুড়ে। তার ঢেউ লাগে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও। কারণ, অভিযুক্তদের বেশির ভাগই ও-পার বাংলার বলে অভিযোগ। তবে এ-পারের কিছু লোকের যোগসাজশেই ওই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে সিআইডি-র দাবি। ঘটনার দু’সপ্তাহের মাথায় হাবরায় গোপাল সরকার, মুম্বইয়ে সালিম শেখ এবং বনগাঁ স্টেশনে খালেদর রহমান মিন্টু ওরফে ফারুক নামে এক জন ধরা পড়ে। পরে শিয়ালদহে গ্রেফতার করা হয় মিলন সরকার এবং ওহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু নামে অন্য দুই অভিযুক্তকে।
সিআইডি সূত্রের খবর, নজু লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের যশোরে। এ দিন সে কলকাতায় আসছে বলে গোপন সূত্রে খবর পান গোয়েন্দারা। সেই অনুযায়ী জাল পাতা হয়। নজু শিয়ালদহ স্টেশনে পা দেওয়া মাত্র তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চলতি মাসেই রানাঘাট কাণ্ডে আট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার কথা। নজুকে নিয়ে ছ’জন ধরা পড়ল। কয়েক দিন আগে মিলনকে গ্রেফতারের পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সে ছাড়াও নজু নামে অন্য এক যুবক এই ঘটনার মূল চক্রী। তারাই ঘটনার আগে দু’বার ওই স্কুলে গিয়ে সব কিছু খুঁটিয়ে দেখে এসেছিল। এবং ঘটনার পরে অভিযুক্তদের প্রায় সকলেই বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।