Child Rape in Murshidabad

মুর্শিদাবাদে ছ’বছরের শিশুকে ঝোপের মধ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ! ধৃত যুবক

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার আগে শিশুটি পাড়ায় খেলছিল। অভিযোগ, তখনই অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত যুবক ওই শিশুকে টানতে টানতে গ্রামেরই একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৫৮
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ছ’বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের সূতি থানা এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, গ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়ে শিশুকে এক ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার আগে শিশুটি পাড়ায় খেলছিল। ওই সময় হঠাৎ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। অভিযোগ, তখনই অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত যুবক ওই শিশুকে টানতে টানতে গ্রামেরই একটি বাঁশবাগানে নিয়ে যান। ওই এলাকায় তখন লোকজনের আনাগোনা বিশেষ ছিল না। ওই বাঁশবাগানের মধ্যেই অভিযুক্ত যুবক শিশুকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।

পরে শিশুটির চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ওই বাঁশবাগানের দিকে এগিয়ে যান। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করেন তাঁরা। হাতেনাতে ধরে ফেলেন অভিযুক্তকেও। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামের ওই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় সূতি থানার পুলিশও। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

ওই রাতেই শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বুধবার সকালে অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। ধৃত যুবককে বুধবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। স্থানীয় থানার এক আধিকারিক জানান, ধৃত যুবক বিভিন্ন নেশায় আসক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে।

সূতির ওই ঘটনা প্রসঙ্গে ফরাক্কার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শেখ শামসুদ্দিন বলেন, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নির্যাতিতা শিশুটির স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছে। দ্রুত তদন্ত শেষ করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement