প্রতীকী ছবি।
গরু চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দুর্গাপুরের স্টিল হাউস এলাকা। জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন তিন জন পুলিশ কর্মী।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। দুর্গাপুর থানার স্টিল হাউস এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেন, সকালে এক্সাইজ লেখা একটি মিনি ট্রাক এসে দাঁড়ায়। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মিনি ট্রাকে থাকা পাঁচ জন সামনের মাঠে চরতে থাকা দু’টি গরুকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, যেই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই পাঁচ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তখন ভিড়ের সুযোগে তিন যুবক পালিয়ে যায়। বাকি দুই যুবককে গরু চোর সন্দেহে মারধর শুরু করে স্থানীয়রা। তাঁরা ওই দুই যুবককে আটকে রাখেন গাড়ির মালিককে ফোন করে আনানোর জন্য। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুর্গাপুর থানার পুলিশ দুই আটক অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা দিতে অস্বীকার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আশপাশের এলাকা থেকেও কয়েক দিন আগে চারটি গরু চুরি হয়েছিল। এর আগে গরু চুরি নিয়ে বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁরা দাবি করেন, যত ক্ষণ না গাড়ির মালিক আসছেন তত ক্ষণ অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন- বিষ ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় সমাজে, সন্তানদের জন্য ভয় হয়: নাসিরুদ্দিন
আরও পড়ুন- যোগীরাজ্যে গোহত্যা! ‘একঘরে’ করার ডাক দিল পুলিশ
ওই টানাপড়েনের মধ্যেই পুলিশ লাঠি চার্জ করে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে দুই অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় পুলিশ জনতার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট বৃষ্টি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। উদ্ধার করা হয় দুই আটক অভিযুক্তকে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ যদিও লাঠি চার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেন। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন,“জনতা ইট বৃষ্টি শুরু করলে পুলিশ শুধু প্রতিহত করে আটকদের উদ্ধার করেছে।” সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চোর সন্দেহে আটক দু’জনের নাম আমিরুল শেখ এবং আকাশ বাগ্দি। তাঁদের জেরা করে গলসির এক ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তদের দাবি ওই ব্যক্তিই তাদের পাঠিয়েছিল গরু নিয়ে যেতে। পুলিশ গলসির ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করার চেষ্টা করছে।