ফের পাঁচিল বিশ্বভারতীর
Visva Bharati

নালিশ শুনেই কাজ বন্ধ পুলিশের

বিশ্বভারতীতে ইতিউতি পাঁচিল নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ চলছেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০০:৩৮
Share:

বিতর্কিত: রতনপল্লিতে রতনকুঠির পিছনের রাস্তায় এখানেই পাঁচিল তৈরি হচ্ছিল। নিজস্ব চিত্র।

আবারও পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে গেল বিশ্বভারতীর পাঁচিল তৈরির কাজ। শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে রতনকুঠির পিছনের রাস্তায় সোমবার থেকে ওই পাঁচিলের কাজ শুরু হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি সেই কাজ বন্ধ করে নির্মাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে শান্তিনিকেতন থানা। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে বিশ্বভারতীতে কমিটির নির্দেশ ছাড়া কোনও নতুন নির্মাণ করা যাবে না। যেহেতু ওঁরা নির্দেশ দেখাতে পারেননি, তাই কাজ বন্ধ রেখে কমিটিকে জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

বিশ্বভারতীতে ইতিউতি পাঁচিল নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ চলছেই। পৌষমেলার মাঠ পাঁচিলে ঘেরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যার সূত্রপাত। পরে বিশ্বভারতীর অন্য জায়গায় পাঁচিল নির্মাণের ক্ষেত্রেও স্থানীয়দের অসুবিধাকে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরোধিতা করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। নতুন বছরের প্রথম দিনেই শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনে নির্মীয়মাণ পাঁচিলের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক। নির্মাণ সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এ দিন সেই পথে হাঁটতে দেখা গেল শান্তিনিকেতন থানার ওসিকেও।

রতনপল্লির বাসিন্দা শর্মিলা রায় পোমো এবং অন্য স্থানীয় বাসিন্দারা এ দিন দেখতে পান তাঁদের বাড়ির সামনেই চলার পথ আটকে পাঁচিলের কাজ শুরু হয়েছে। এই রাস্তা সাধারণের চলাচলের জন্য এবং রতনপল্লি বাজারে যাওয়ার সহজ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রথম থেকেই।

Advertisement

বর্তমানে পাঁচিলের মাঝে সাইকেলে বা পায়ে হেঁটে যাতায়াতের জন্য তিন ফুটের একটি ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে। কিন্তু জানা যাচ্ছে, সেটিকেও বন্ধ করে পাঁচিলের পাশে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হবে। যদিও রাস্তার জন্য নির্ধারিত স্থানটির অবস্থা দেখে সেই বিষয়ে মোটেই আশাবাদী নন স্থানীয়েরা। শর্মিলা রায় পোমোর কথায়, “এখানে পাঁচিল হলে যাতায়াতের অত্যন্ত অসুবিধা হবে। যে সব প্রবীণ নাগরিকরা এই এলাকায় বসবাস করেন তারাঁ বড় রাস্তায় গাড়ির ভিড় এড়াতে এই পথ এতকাল ব্যবহার করে এসেছেন।” অসুবিধার কথা জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও সরব হন তিনি।

এ দিকে, স্থানীয় বাসিন্দা আলপনা রায়, শিপ্রা রায়, রঞ্জনা সেনগুপ্ত, মিতালি চক্রবর্তী প্রমুখের সম্মতিতে শান্তিনিকেতন থানায় এই নির্মাণের বিরুদ্ধে পিটিশনও দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে শান্তিনিকেতন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কর্মীদের কাছে ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেখতে চায়। দেখাতে না পারলে কাজ বন্ধ করানোর সঙ্গেই নির্মাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রশাসনের এই তৎপরতায় খুশি স্থানীয়েরা। তবে এই বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মত পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন