RSS

শুরুর আগেই ধরপাকড়, তবু হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল আটকাতে পারল না পুলিশ, ধুন্ধুমার মধ্য কলকাতায়

মেটিয়াবুরুজের লিচুবাগান এলাকায় সোমবার গুলি করা হয় বীরবাহাদুর সিংহ নামে এক যুবককে। তিনি সঙ্ঘের সক্রিয় কর্মী। বিষয়টি নিয়ে সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠন এবং বিজেপি ক্রমশ সুর চড়াতে শুরু করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:৩১
Share:

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল।— নিজস্ব চিত্র

আরএসএস কর্মীকে মেটিয়াবুরুজে গুলি করার প্রতিবাদে শিয়ালদহ থেকে মিছিলের ডাক দিয়েছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। তাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাধল পুলিশ এবং মিছিলকারীদের মধ্যে। অনুমতি ছাড়াই মিছিল করা হচ্ছিল বলে জানিয়ে মঞ্চের সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার দাবি, অনুমতি নিয়েই মিছিল করা হচ্ছিল। পুলিশের কড়া সমালোচনা করেছে আরএসএস-ও।

Advertisement

মেটিয়াবুরুজের লিচুবাগান এলাকায় সোমবার গুলি করা হয় বীরবাহাদুর সিংহ নামে এক যুবককে। তিনি সঙ্ঘের সক্রিয় কর্মী। বিষয়টি নিয়ে সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠন এবং বিজেপি ক্রমশ সুর চড়াতে শুরু করেছে। চিকিৎসাধীন বীরবাহাদুরকে দেখতে গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় হাসপাতালে ছুটেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সব্যসাচী দত্ত-সহ বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

হিন্দু জাগরণ মঞ্চ মিছিলের ডাক দিয়েছিল স্বয়ংসেবকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদ জানাতে। বুধবার দুপুর ১টায় শিয়ালদহ স্টেশনের পার্কিং এলাকা থেকে মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল বড়সড় পুলিশ বাহিনী। মিছিল শুরুই করতে দেয়নি পুলিশ। মিছিলের অনুমতি নেই বলে জানিয়ে শিয়ালদহেই গ্রেফতার করা হয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্য-সমর্থকদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বিলে সায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, আগামী সপ্তাহেই পেশ হবে সংসদে​

এ নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে উত্তেজনা তৈরি হয়। মিছিলে বাধা দেওয়ার কঠোর নিন্দা করে আরএসএস। শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং প্রতিবাদ মিছিল কেন করতে দেবে না পুলিশ? কেন মিছিল শুরুর আগেই সকলকে গ্রেফতার করে নেওয়া হবে? প্রশ্ন তোলা হয় সঙ্ঘের তরফ থেকে।

কিন্তু এতেই শেষ হয়নি গোটা পর্বটা। পুলিশ যে শিয়ালদহ থেকে মিছিল বেরতে দেবে না, হিন্দু জাগরণ মঞ্চও তা জানত। তাই শিয়ালদহে জমায়েতকারীরা গ্রেফতার হয়ে যেতেই এনআরএস হাসপাতালের সামনে থেকে মঞ্চের আর এক দল কর্মী মিছিল শুরু করে ধর্মতলার দিকে এগোতে থাকেন।

পুলিশ কিন্তু এই দ্বিতীয় মিছিলের জন্য প্রস্তুত ছিল না। মিছিলটা মৌলালির কাছে পৌঁছতেই সেখানে উপস্থিত কয়েক জন পুলিশকর্মী তা থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েকশো মিছিলকারীকে ওই ক’জন মিলে থামাতে পারেননি। পুলিশকর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে এগোতে থাকে মিছিল। এস এন ব্যানার্জি রোডেও ফের সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখানেও কয়েক জন পুলিশকর্মী মিছিল আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি।

আরও পড়ুন: এ বার অনলাইনে খাবার অর্ডার করে প্রতারিত হরিদেবপুরের যুবক, খোয়ালেন ১০ হাজার টাকা

স্ট্র্যাটেজি বদলে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ যে এনআরএসের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেছে, সে খবর ইতিমধ্যেই পৌঁছেছিল কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে। তাই দ্রুত এস এন ব্যানার্জি রোডে ছুটে যান ডিসি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। প্রস্তুতি না থাকায় তাঁর সঙ্গেও বড় বাহিনী ছিল না। কিন্তু ওই ডিসির নির্দেশে পুলিশ লাঠি চালিয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পুলিশের সঙ্গে তখন প্রিজন ভ্যানও ছিল না। মিছিলকারীদের গ্রেফতার করে পথচলতি ট্যাক্সিতে তোলে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন