এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। ঘটনার ২০ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হল। চার্জশিটে ডাক্তারি ছাত্রীর সহপাঠীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে বলে খবর মিলেছে আইনজীবীদের সূত্রে।
ছাত্রী গত ১০ অক্টোবর রাত ৮টা নাগাদ সহপাঠী এক ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ওই ছাত্রী নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার ওই সহপাঠী এবং কলেজ লাগোয়া গ্রামের পাঁচ যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে।
আদালত সূত্রের খবর, ধৃত সহপাঠীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অন্য তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে। এই মামলায় দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই মামলায় বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দ্রুত গতিতে তদন্ত চালিয়ে চার্জশিট গঠন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আমরা আদালতে চার্জশিট জমা করলাম। এটা আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাফল্য। আমরা আশাবাদী, দু’মাসের মধ্যে ট্রায়াল শেষ হয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ পাঁচ দিনের জেল হেফাজত শেষে ফের ধৃতদের শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই জেলে গিয়ে টিআই প্যারেডে অংশ নিয়েছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। শনাক্ত করেছিলেন কলেজ লাগোয়া গ্রাম থেকে ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকে। তাঁদের এক জনকে মূল অভিযুক্ত বলেও চিহ্নিত করেছিলেন নির্যাতিতা। পাশাপাশি জানিয়েছিলেন, ঘটনার রাতে কার কী ভূমিকা ছিল। সেই সময় পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, নির্যাতিতাকে তাঁর ওড়িশার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে, তিনি ফের দুর্গাপুরে আসবেন।