রজতের খোঁজে এ বার তল্লাশি, দাবি পুলিশের

উত্তর কলকাতার গণেশ টকিজে উড়ালপুল ভাঙার ছ’দিন পরেও অভিযুক্ত রজত বক্সীর খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। লালবাজারের দাবি অন্তত তেমনটাই। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দেবাশিস বড়াল এ দিন জানান, রজতের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩৪
Share:

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আইভিআরসিএলের ধৃত চার কর্তা— গোপাল কৃষ্ণমূর্তি (বাঁ দিকে উপরে), এস কে রত্নম, শ্যামল মান্না (বাঁ দিকে নীচে) ও বিদ্যুৎ মান্না। — নিজস্ব চিত্র

উত্তর কলকাতার গণেশ টকিজে উড়ালপুল ভাঙার ছ’দিন পরেও অভিযুক্ত রজত বক্সীর খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। লালবাজারের দাবি অন্তত তেমনটাই। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দেবাশিস বড়াল এ দিন জানান, রজতের খোঁজে তল্লাশি চলছে। যদিও পুলিশের একটি অংশের মতে, রজত ওই এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা সঞ্জয় বক্সীর ভাইপো বলেই লালবাজারের শীর্ষ কর্তারা গড়িমসি করছে। কোথায় রয়েছেন রজত?

Advertisement

পুলিশ সূত্র বলছে, ঘটনার দু’দিন পরেও হাওড়ার মন্দিরতলার বাড়িতে ছিলেন রজত। তার পর থেকে তিনি বেপাত্তা। লালবাজারের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে, রজতের সংস্থা সন্ধ্যা এন্টারপ্রাইজের শ্রমিকরা দুর্ঘটনার রাতে সেতুর কাজে ছিল জেনেও পুলিশ কেন রজতকে ছেড়ে রেখেছিল? পুলিশের অন্য একটি অংশের অবশ্য দাবি, রজতের খোঁজে সোমবার পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান করা হয়নি। এখন তাঁর উপর নজর রাখা হয়েছে। সময় হলেই হেফাজতে নেওয়া হবে। রজত এখন রাজ্যের বাইরে রয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর।

বৃহস্পতিবার ওই সেতুর একটি অংশ ভেঙে ২৬ জন মারা গিয়েছেন। আহত অন্তত ৯০ জন। ওই ঘটনার পর উড়ালপুলের নির্মাণ এবং ব্যবহৃত ইমারতি সামগ্রীর গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পিছনে নির্মাণ সংক্রান্ত ত্রুটি রয়েছে। সেই রাতে এবং পরের দিন সকালে সন্ধ্যা এন্টারপ্রাইজের শ্রমিকেরা জোগাড়ের পাশাপাশি ঝালাই ও ঢালাইয়ের কাজে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ মনে করছে। তাই তাদের গাফিলতির বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। আর এই কারণেই রজত বক্সী পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, নির্মাণকারী সংস্থা আইভিআরসিএল ২০১১ সালে তৃণমূল নেতার ভাইপো রজত বক্সীর সংস্থা সন্ধ্যা এন্টারপ্রাইজকে শ্রমিক সরবরাহ করার দায়িত্ব দেয়। সেই থেকেই সেখানে কাজ করছে রজতের সংস্থা। এক গোয়েন্দা কর্তা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি, রজতের সংস্থার ওই ধরণের নির্মাণের কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না।’’ গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সন্ধ্যার পাশাপাশি বিবেকানন্দ উড়ালপুল নির্মাণে আরও ১৫টির বেশি সংস্থা কাজ করছিল। তাদেরও দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন