রবিবাসরীয় প্রচারে সরগরম রেলশহর

এ দিন সকালে ‘খাসতালুক’ খড়্গপুরে প্রচারে এসেছিলেন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই খড়্গপুর সদর থেকেই ২০১৬ সালে বিধায়ক হন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৩
Share:

আয়মায় প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: দেবরাজ ঘোষ

উপনির্বাচনের আগে হাতে আর সাত দিন। ভোটের মুখে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার তাই জমে উঠল। সকাল থেকে রাত, বিজেপি, তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের প্রচারে সরগরম রইল রেলশহর।

Advertisement

এ দিন সকালে ‘খাসতালুক’ খড়্গপুরে প্রচারে এসেছিলেন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই খড়্গপুর সদর থেকেই ২০১৬ সালে বিধায়ক হন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনে জেতার ক্ষেত্রে শুধু মাত্র এই বিধানসভাই ৪৫ হাজার ভোটের ‘লিড’ দিয়েছিল দিলীপকে। সেখানে এ বার উপনির্বাচনে গড়রক্ষার পরীক্ষা বিজেপি সভাপতির। প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা-র সমর্থনে বারবার প্রচারেও আসছেন দিলীপ। এ দিন সকালে হুডখোলা গাড়িতে তিনি ঘুরেছেন ঝোলি ও আয়মা এলাকায়। আয়মা রেল এলাকার বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনেছেন। পরে গোলবাজারে দুর্গেশ্বর মন্দিরে রেলের গোলবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকেও রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা শুনতে হয় বিজেপি সাংসদকে। এক ব্যবসায়ী তো এ-ও বলেন, ‘‘রামমন্দির তৈরি হলে আমাদের বাজারের হাল ফিরবে না কেন!’’ সব নালিশ শুনে দিলীপ বলেন, “এত বিধায়ক, সাংসদ এসেছেন-গিয়েছেন, কিন্তু আপনাদের সমস্যার সমাধান হয়নি। এর মানে এটা নয় যে সমাধান হবে না। আমি সাংসদ ও প্রেমচাঁদ ঝা বিধায়ক হয়ে একসঙ্গে ধাক্কা দিলে গাড়ি তো একটু এগোবে!”

এ দিন প্রচারে এসে বিজেপি নেতা মুকুল রায় পুরনো সতীর্থকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘শুভেন্দুর রেকর্ড খুব খারাপ। যেখানে দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানেই তৃণমূলের প্রার্থী হেরেছেন। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে হেরেছে তৃণমূল। এ বার খড়্গপুরে দায়িত্ব নিয়েছেন। এখানেও হার নিশ্চিত।’’ তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণে যাননি। তবে প্রার্থী প্রদীপ সরকারের সমর্থনে প্রচার সভায় বিজেপিকে বিঁধে বলেন, ‘‘ধর্ম-জাতপাত নিয়ে আমরা ভোট চাই না। ভোট চাই উন্নয়ন নিয়ে। ধর্ম নিয়ে ওরা (বিজেপি) ভোট চাইছে।’’ কংগ্রেস-সিপিএম জোটকেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

Advertisement

আরও পড়ুন: শোভনের বিচ্ছেদ মামলা স্থগিত

রেলশহরে সন্ধ্যায় প্রচারে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল ও বিজেপি ভোটে দুষ্কৃতী রাজ কায়েম করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন সুজন। আর চাচা জ্ঞানসিংহ সোহন পালের আবেগ উস্কে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে জেতানোর আহ্বান জানান সোমেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন