বিকেলেই নেমে এল অন্ধকার। বৃষ্টিতে ভিজল গোটা শহর। নিজস্ব চিত্র।
বিকেলেই অন্ধকার নেমে এল। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটের পর থেকেই কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। এতটাই ঘন কালো মেঘ, যে গোটা শহর অন্ধকার হয়ে যায়। রাস্তায় সমস্ত গাড়ি রীতিমতো হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত শুরু করে।
আলিপুরের আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, বিকেল থেকেই দফায় দফায় শহর এবং শহরতলিতে ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে থাকবে ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া। পূর্বাভাস মতো শুধু কলকাতা শহর নয়, একই রকম অবস্থা হয় শহর লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলিতে।
এ দিন সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। সঙ্গে ছিল হাঁসফাঁস করা গরম। সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পান মানুষ, সকালের এক পশলা বৃষ্টির পর।সকালে সাড়ে ৮টা নাগাদ এক পশলা বৃষ্টি হয় শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। বেলা বাড়ার সঙ্গে ফের শহরের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় বৃষ্টি। সেই সঙ্গে চলে ঝোড়ো হাওয়া। দুপুরে সেই বৃষ্টি থেমে গেলেও ফের কয়েকঘণ্টার মধ্য আকাশ বর্ষাকালের মত কালো হয়ে যায়।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: অলীক গ্রেফতারে ইদ ভুলে ফের যুদ্ধের প্রস্তুতি ভাঙড়ে
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢোকার কারণেই এই প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এ রকম পরিস্থিতি বজায় থাকবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৩.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পরিমাণটা আগামী দিনে আরও বাড়বে। তবে বৃষ্টি থামলেই বাতাসে আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তিসূচক বাড়বে। এখনই অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে না বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।
আরও পড়ুন: অভিনন্দনে ভাসলেন সাংসদ অভিষেক
সকালে শহরে বেশি বৃষ্টি না হলেও শহরতলিতে বেশ কয়েক পশলা ভারী বৃষ্টি হয়।কলকাতা ছাড়াও বৃষ্টি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। মৌসম ভবন জানিয়ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে বর্ষা ঢুকে পড়বে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এ রাজ্যেও পৌঁছে যেতে পারে বর্ষা।