আলোচনা: মহেশতলা উপনির্বাচনে জয়ী দুলাল দাসের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দুলাল-কন্যা তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: অরুণ লোধ
আবির-উচ্ছ্বাস-ভিড় সব তাঁকে ঘিরে। দেখে মনে হয়, দুলাল দাস নয়, জিতেছেন আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মহেশতলা বিধানসভার উপনির্বাচনে গণনাকেন্দ্রের সামনে ছবিটা ছিল এই রকম। মহেশতলা বিধানসভা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসাবে অভিষেকের নজর এখানে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে যা নজর কেড়েছে তা হল গণনাকেন্দ্রে নিজে হাজির থেকে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা।
প্রথম রাউন্ড থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ফোনে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন তিনি। বেলা ১১টা নাগাদ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে নিজেই পৌঁছে যান গণনাকেন্দ্রে।
মাইকে তখন ঘোষণা হচ্ছে, তৃণমূল প্রার্থী প্রায় ২৭ হাজার ভোটে এগিয়ে। চারদিকে উড়ছে সবুজ আবির। ফাটছে বাজি-পটকা। সবুজ আবির মেখে দু’হাত তুলে নাচছেন তৃণমূল সমর্থকেরা। পুলিশের লোহার ব্যারিকেড থেকে হাত বাড়িয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে করমর্দন শুরু করে দেন অভিষেক। সেই রেশ জারি থাকে গণনার শেষ পর্যন্ত। পরে অভিষেক বলেন, ‘‘যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা হয়েছে ততই তৃণমূলের ভোট বেড়েছে। যাঁরা গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁদের মুখে ছাই দিয়ে তৃণমূল জিতেছে।’’
আরও পড়ুন: বাড়ল ব্যবধান, জয় তৃণমূলের
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মহেশতলা নিয়ে যুব তৃণমূল সভাপতির বিশেষ আগ্রহের আরও কিছু কারণ আছে। দলীয় প্রার্থী দুলালবাবুর জামাই কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এখনও কাগজেকলমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের সভাপতি। তাঁর স্ত্রী রত্নার সঙ্গে মেয়রের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। ইদানীং দলের কোনও সাংগঠনিক কাজে শোভনবাবুকে রাখা হচ্ছে না। অন্য দিকে, অভিষেকের পাশে এ দিন রত্নাদেবীকে দেখা গিয়েছে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলের সমীকরণে শোভনবাবুর সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক অনেকটাই শীতল। এই অবস্থায় মহেশতলার ভোটে শোভনের অনুপস্থিতি এবং অভিষেকের ‘অতি সক্রিয়তা’ অদূর ভবিষ্যতের কোনও ইঙ্গিত কি না, সে প্রশ্নও এ দিন ঘুরে বেরিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy