E-Paper

স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনে মামলা তুলে নিতে ‘হুমকি’ পরিবারকে

গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের যাত্রাগাছি থেকে উদ্ধার হয় স্বপনের দেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:০৭

—প্রতীকী চিত্র।

স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে খুনের ঘটনায় এ বার তাঁর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিধাননগর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি রুজু করেছে। মঙ্গলবার বারাসত জেলা দায়রা আদালতে হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করেন সরকারি আইনজীবী।

তিনি এ দিন আদালতে জানান, এই ঘটনায় অভিযোগকারী রাজ্যের বাইরে আছেন। তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি, মামলাতুলে না নিলে এবং এই রাজ্যে ঢুকলে তাঁকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউনের যাত্রাগাছি থেকে উদ্ধার হয় স্বপনের দেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের। আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রশান্তই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। তিনি অবশ্য ইতিমধ্যে আগাম জামিন পেয়েছেন।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে গত ১৩ নভেম্বর কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের নেতা সজল সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে ইতিমধ্যেই নিলম্বিত করেছে শাসকদল। এ দিন বারাসত জেলা দায়রা আদালতে প্রশান্তের আগাম জামিনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সজলের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী জানান, ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ, খুন এবং দেহ ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সজলের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি সজলের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। দু’পক্ষের সওয়াল শেষে সজলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BDO police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy