Primary Teacher Recruitment

বাম জমানায় নিয়োগ হয়নি, কুণালের আশ্বাস পেয়ে ধর্না তুলে নিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক উত্তীর্ণেরা

৩৭ দিন ধরে চাকরির দাবিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। তাঁদের দাবি ছিল, আদালতে মামলাটির দ্রুত শুনানি হোক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৩২
Share:

৩৭ দিন ধর্নার পর তা তুলে নিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক উত্তীর্ণেরা। — ফাইল ছবি।

বাম জমানায় নিয়োগ হয়নি। এই অভিযোগ নিয়ে সোমবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁরা। কুণালের আশ্বাস পেয়ে মঙ্গলবার ধর্না তুলে নিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণেরা।

Advertisement

৩৭ দিন ধরে চাকরির দাবিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। তাঁদের দাবি ছিল, আদালতে মামলাটির দ্রুত শুনানি হোক আর তাঁদের দাবিদাওয়া রাজ্য সরকারের নজরে আসুক। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, সোমবার কুণাল নিয়োগের বিষয়ে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানিও রয়েছে। এর পরেই তাঁরা ধর্না তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ওই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ধর্নায় বসেছিলেন দেবাশিস বিশ্বাস। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের প্রতিনিধি কুণাল ঘোষের সঙ্গে সোমবার দেখা করেছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। যে হেতু বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি রয়েছে, তাই আমরা ধর্না তুলে নিচ্ছি। এই সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’’

Advertisement

তখন বাম জমানা। ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ছিল না। কেউ কেউ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে, আগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের চাকরি দেওয়া হোক। সেই মর্মে তাঁরা মামলাও করেন। ওই মামলায় বাম সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। সেই মামলা এখনও চলছে। বৃহস্পতিবার রয়েছে তার শুনানি। প্রশ্ন উঠছে, মামলায় হেরে গেলে কি ফের তাঁরা ধর্নায় বসবেন? চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, রায় তাঁদের পক্ষে বা বিপক্ষে যাই হোক, কিছু প্রার্থীর চাকরি তো হবেই। তাই ধর্নায় বসার প্রশ্নই নেই।

নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ধারক পরীক্ষা (টেট) উত্তীর্ণরা। সোমবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আশ্বাস দিয়েছে, উত্তীর্ণেরা এ বার লিখিত পরীক্ষার নম্বর জানতে পারবেন। ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছিলেন ১ লক্ষ ২৫ হাজার। এই সপ্তাহের মধ্যেই ওই উত্তীর্ণদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৭ সালের উত্তীর্ণদের নম্বর সোমবারই জানিয়েছে পর্ষদ।

অন্য দিকে, সোমবার কুণাল বলেছিলেন, ‘‘বাম জমানার ওই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল। সেই থেকে জলঘোলা চলছে। কোনও একটি মহল ওদের নিয়োগ জোর করে আটকে রাখছে। বিকাশবাবুদের অন্য ক্ষেত্রে দরদ থাকলেও এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না। কারণ এটা ২০০৯ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম থেকে শুরু। আদালতে শুনানি শেষ হলেও রায় দান স্থগিত রয়েছে। যে ভাবে ওদের জিনিসটা আটকে রয়েছে, সেটা ঠিক করা হোক। আমি ওদের পাশে আছি। পর্যদ সভাপতি ওঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল। আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। আশা করি জট তাড়াতাড়ি খুলে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন