প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান উঠল। মঙ্গলবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন ইউইউপিটিডব্লিউএ-র সম্পাদক পৃথা বিশ্বাস জানান, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সরকারকে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। অধিবেশন ১৬ নভেম্বর শুরু হবে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন রাতে অবশ্য আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দেননি। যোগ্যতার ভিত্তিতে বেতন কাঠামো পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষকদের এই অবস্থান নিয়ে তিনি কঠোর।
প্রাথমিক শিক্ষকদের এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে তাঁর মন্তব্য ‘‘শিক্ষকদের লেলিয়ে দিয়ে বিরোধীরা যে ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন, তার নিন্দা করছি। রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা না করেই বেতন বাড়ানোর দাবি ঠিক নয়।’’ তিিন এ-ও জানান, কোন রাজ্যে এক শর্তে চাকরি আর অন্য শর্তে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে— তার নমুনা আন্দোলনকারীরা দিন।
ওই অবস্থানে বিরোধীদের উপস্থিতি নিয়ে এ দিন দিনভর চাপানউতোর হয়েছে। অবস্থানের প্রথম দিনে কংগ্রেস ও বাম নেতারা ছিলেন। দ্বিতীয় দিনে সেখানে যান রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বেতনের সমহারে বেতন যদি অন্য রাজ্যে দিতে পারে, এই রাজ্য কেন দিতে পারবে না? কেন্দ্রের টাকা নিয়ে এরা কী করে?’’ তাঁর দাবি, জোর করে এই আন্দোলনকে দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য। এ দিন এই মঞ্চে ছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ও।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একাংশ এ দিন ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবরোধ করলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়।