সরকারি স্কুলের ‘মিড ডে মিলে’ এ বার দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য দেওয়ার প্রস্তাব দিল কেন্দ্র। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে বলেছে, দেশে দুধের উৎপাদন এখন চাহিদার তুলনায় বেশি। সেই দুধ অথবা দুগ্ধজাত দ্রব্য মিড-ডে মিলে যোগ হলে পড়ুয়াদের পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে। দুগ্ধ সমবায়গুলি থেকে এই দুধ অথবা দুগ্ধজাত দ্রব্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
এই নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য, মিড ডে মিলের জন্য আর্থিক বরাদ্দ নামমাত্র। সেই খরচের মধ্যে দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য কী ভাবে দেওয়া সম্ভব!
আগে প্রাথমিক স্তরে দুপুরের খাবারের জন্য পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ ছিল ৪.১৩ টাকা, উচ্চ-প্রাথমিকে ৬.১৮ টাকা। সম্প্রতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের স্কুলশিক্ষা বিভাগ মিড-ডে মিলে পড়ুয়া-পিছু বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪.৩৫ টাকা এবং ৬.৫১ টাকা করেছে। অর্থাৎ প্রাথমিকে বাড়ল ২২ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৩৩ পয়সা। এই বরাদ্দের মধ্যেই সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ডিম, উদ্ভিজ প্রোটিনের জন্য সয়াবিন এবং ডাল, সঙ্গে তরকারি দিতে হয়। যোগ হয় রান্নার গ্যাসের খরচও।
শনিবার বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের প্রশ্ন, ‘‘ছাত্র পিছু বরাদ্দ সাকুল্যে এক টাকা করেও বাড়েনি। তা হলে কী ভাবে মিড-ডে মিল তালিকায় দুধ যোগ করা সম্ভব?’’